দোয়ারায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৮০

0
270

হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক প্রতিনিধিঃ
দোয়ারায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান পক্ষদ্বয়ের এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৮০ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ২৬জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদর ইউনিয়নের নৈনগাঁও গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল বারী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের দু’শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পক্ষের লোকজন তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র, কাঁচের বোতল ও ব্যাপক ইটপাঠকেল ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষ আশপাশ এলাকায় জড়িয়ে পড়লে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের নৈনগাঁও এলাকা পরিনত হয় রনক্ষেত্রে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত নিজাম উদ্দিন (২৬), সাইফুর রহমান (১৯), আনিছা বেগম (৩৫), আকাশ মিয়া (১৮), লিয়াকত আলী (২৮), সুজন মিয়া (২০), সফিকুল ইসলাম (২১), সাঈদ মিয়া (২৬), সুহেল আহমদ (২২), আব্দুল মছব্বির (৪৫), আলিম উদ্দিন (৫০)সহ ২৬জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছোয়াব আলী (২০), আপ্তাব উদ্দিন (৩০), সেলিম মিয়া (১৭), আব্দুল হামিদ (১৯), রুস্তুম আলী (২০), রুবেল মিয়া (১৯), আনসার আলী (২২), আলাল উদ্দিন (৩৭), হালিম মিয়া (২০), গুলজার মিয়া (২৮), শাহ আলম (১৮), মনির উদ্দিন (২০), জাহাঙ্গীর (১৮), মিছির আলী (৩০), হাবিবুর রহমান (৩৬), ফারুক মিয়া (৪০), কামরুল হক (৩৫) সালাম মিয়া (৪০), আলমগীর হোসেন (২০), আইনুল হক (২০),খোয়াজ আলী (৩০), মরহম আলী (২৫), মতিউর রহমান (৫০), নুর আলী (৫৫), ছালিক মিয়া (৩০), মিজান মিয়া (২৬), কুদরত উলা (১৮), তরিক আলী (৩৫), ইয়াকুব আলী (১৮), বিলাল হোসেন (৫০), আলী হোসেন (৫০), লায়েক মিয়া (২৮),আতাউর রহমান (৫০), আকরাম মিয়া (১৯), আকবর আলী (৩০), আব্দুর রহমান (৪৮)সহ আহতদের দোয়ারা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে এ সংঘর্ষের ঘটনার বিষয়ে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বারী ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে দু’জনই কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশিল চন্দ্র দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে কোন পক্ষেরই লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here