দেশের কৃষকদের বাঁচাতে চাল আমদানি বন্ধ করা হবেঃ অর্থমন্ত্রী

0
314

খবর৭১ঃ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘দেশের কৃষকদের বাঁচাতে চাল আমদানি বন্ধ করা হবে এবং ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল রফতানি করা হবে।’

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইআরডি সম্মেলন কক্ষে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

আজ ইআরডি সম্মেলন কক্ষে আগামী ২০১৯-২০ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে কৃষি ও এর উপখাতগুলোতে সরকারের বরাদ্দ ও বিশেষ গুরুত্ব প্রস্তাব বিষয়ে সুপারিশমালা প্রদান করা হয়।

অর্থমন্ত্রীকে কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ এ সুপারিশমালা প্রদান করেন।

সেখানে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এ বছর দেশে লক্ষণীয়ভাবে অনেক বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। বিষয়টি শুধু আমাদের বেলায়ই নয়, প্বার্শবর্তী দেশগুলোতেও খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে। সে কারণে দেশের বাইরে খাদ্যশস্যের চাহিদা কম। সেখানে ডিমান্ড থাকলে আমরা রফতানি করতাম।’

তবে এ বছর আমদানির চেয়ে চাল রফতানি করার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। সবজির মতো চালও ভর্তুকি দিয়ে রফতানি করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চলতি বছর ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কম। আমরা প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে চাল রফতানি করতে পারি এবং সেই উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করব।’

এ বিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

দেশে ধানের দাম কম পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ কৃষকের নিজের ক্ষেতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে।

দেশের কৃষকদের এ সমস্যা থেকে বাঁচাতে বাইরের দেশে থেকে চাল আমদানি বন্ধ করা হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারিভাবেই চাল আমদানি বন্ধ করব। অবশ্যই রেস্ট্রিক্ট করব।’

অর্থমন্ত্রী যোগ করেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে যা যা করা দরকার তাই করব। সেগুলোর প্রতিফলন আপনারা দেখতে পাবেন। ’

ভর্তুকি দিয়ে সবজি রফতানি করায় সবজির উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সবজি নয়, যে বছর যে পণ্য বেশি উৎপাদন হবে, সেগুলো রফতানি করব আমরা। তাহলে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ব্যবধান হবে না। কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘উৎপাদন করে যদি উৎপাদনের খরচই না পাওয়া যায়, তাহলে কৃষকরা নিরুৎসাহিত হবেন। এ বিষয়টি সরকারকে দেখতে হবে। উৎপাদন দেখতে হবে, উৎপাদনের জন্য সহায়ক যা আছে, এগুলোরও সমাধান দিতে হবে। এটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here