দেশের অর্ধেক ব্যাংকই এখনও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে: বিআইবিএম।

0
351

logo

খবর৭১ঃ
দেশের অর্ধেক ব্যাংকই এখনও সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। মোট ব্যাংকের ৫০ ভাগ সাইবার নিরাপত্তায় নেক্সট জেনারেশন ফায়ারওয়্যাল (এনজিএফডব্লিউ) সফটওয়্যার স্থাপনে সক্ষম হয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশের মধ্যে ৩৫ শতাংশ ব্যাংকে আংশিক এবং ১৫ শতাংশ ব্যাংকে এটি স্থাপন অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। ফলে এই ৫০ শতাংশ ব্যাংকের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টি ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘আইটি অপারেশনস অব ব্যাংকস’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবদুর রহিম।

এতে বক্তব্য রাখেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী, বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী, বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের ব্যাংকে আইটি বিষয়ে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এজন্য টেকনোলজি উন্নতি করতে হবে। শুধু ভালো সফটওয়্যার কিনলেই হবে না। এগুলো যথাযথ পরিচালনার জন্য দক্ষ কর্মীও তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে কর্মকর্তাদের আইটি প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন বলেন, হ্যাকিং বিভিন্ন মাধ্যমে হয়ে থাকে। বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যাংক আইটি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের সতর্ক হওয়া এবং আইটি নিরাপত্তা জোরদারে মনোযোগী হতে হবে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, অধিকাংশ ব্যাংকের ম্যানেজমেন্টের আইটি খাতে নজর কম। তারা শুধু ডে টু ডে ব্যবসা বোঝে। এতে ব্যাংকিং ব্যবসা অনেকটা দোকানদারে পরিণত হয়েছে। শর্টটাইম লাভ-লোকসানের চিন্তার কারণে এটি হয়েছে। এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আইটি খাতে নজর ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এখনও ৫০ শতাংশ মানুষ ব্যাংকিং সেবার বাইরে। এদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এটি করতে হবে। প্রতিটি গ্রামে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে আইটিকে পৃথক করার কিছু নেই। তাই সব কর্মকর্তাকেই আইটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। কারণ আইটি না জানলে উপরে ওঠা যাবে না।

বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, কয়েকটি দুর্ঘটনার পর আইটি সিকিউরিটি বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় এসেছে। ব্যাংকিং খাতে আইটি নিরাপত্তা খুবই জরুরি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলী বলেন, আইটি বিষয়ে সব কর্মকর্তার জ্ঞান থাকতে হবে। এটি শুধু আইটি বিভাগের কর্মকর্তাদের থাকলে চলবে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here