দেশীয় প্রকৌশলীদের সুবিধা বাড়ছে

0
342

খবর৭১: খুব শিগগিরই আন্তর্জাতিক বাড়তি সুযোগ-সুবিধা পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা। এ লক্ষ্যে ২০১৯ সালের জুন মাসে ওয়াশিংটন একোর্ড (Washington Accord) এবং আন্তর্জাতিক পেশাদারী প্রকৌশলী চুক্তি’র (International professional engineers agreement (IPEA) পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। আইইবি ওয়াশিংটন একোর্ড এবং আইপিইএ-এর পূর্ণ সদস্য হওয়ার পর বাংলাদেশের প্রফেসনাল প্রকৌশলী হিসেবে নিবন্ধিত প্রকৌশলীগণ আন্তর্জাতিক প্রকৌশলী হিসেবে সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

জানা যায়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রকৌশলীদের পেশাগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আইইবি সহযোগী সংগঠন হিসেবে ২০০২ সালে বাংলাদেশ প্রফেসনাল রেজিষ্ট্রেশন বোর্ড (বিপিইআরবি) এবং ২০০৩ সালে বোর্ড অব এক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল অ্যাডুকেশন (বিএইটিই) গঠন করে।

বিপিইআরবি কর্তৃক প্রকৌশলীদের মান আন্তর্জাতিক পার্যায়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে রীতিনীতি অনুযায়ী পরীক্ষার মাধ্যমে প্রফেসনাল ইঞ্জিনিয়ার (পিইঞ্জিনিয়ার) হিসেবে নিবন্ধিত হয়ে থাকে। সেই সাথে এই মান ধরে রাখার জন্য আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিবন্ধিত সকল প্রকৌশলীর জন্য বছরে কমপক্ষে পাঁচ দিন সিডিডি করা বাধ্যতামূলক রয়েছে।

বিপিইআরবি ২০০৮ সালে ওয়াশিংটন একোর্ড এবং আইপিইএ-এর প্রাথমিক সদস্যপদ পায়। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ না থাকায় আন্তর্জাতিক প্রকৌশলী হিসেবে বিদেশে গিয়ে সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না দেশীয় প্রকৌশলীরা।

কিন্তু এতো বছর ধরে এদেশের প্রকৌশলীরা আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা থেকে অনেকাংশে বঞ্চিত থাকলেও খুব শিগগিরই প্রকৌলীদের জন্য সুখবর আসতে যাচ্ছে। আইইবি’র সদস্যপ্রাপ্ত এদেশের প্রকৌশলীরা যেন আন্তর্জাতিক সকল সুযোগ-সুবিধা পায় সেই লক্ষ্যে আগামী বছর জুন মাসে ওয়াশিংটন একোর্ড এবং আইপিইএ’র পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ পাওয়ার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে।

এ চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হলে বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা আন্তর্জাতিক সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

একাধিক প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, বাংলাদেশে প্রকৌশলী বিষয়ে বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে অনেকেই বিদেশে যাচ্ছেন প্রকৌশলী হিসেবে। কিন্তু ওয়াশিংটন একোর্ড এবং আইপিইএ-এর পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ না থাকায় বিদেশে গিয়ে অন্যান্য দেশের মত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না এদেশের প্রকৌশলীরা। আবার বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তোলা হয় মান নিয়েও।

যার ফলে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আবার সঠিক মেধার মূল্যায়নও হচ্ছে না। সেইসাথে বাংলাদেশ বঞ্চিত হচ্ছে অতিরিক্ত রেমিটেন্স থেকেও। এখন এই চুক্তি স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা আন্তর্জাতিক সকল সুযোগ-সুবিধা পাবে। একই সাথে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হবে। বাড়বে দেশের রেমিটেন্সও।

এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর ব্রেকিংনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, “ওয়াশিংটন একোর্ড এবং আইপিইএ’র পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ পেতে আমরা গত ১০ বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছি। এই দুটি প্রতিষ্ঠানে পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ পেলে আইইবি’র অবস্থান আন্তর্জাতিকভাবে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। একইসঙ্গে বিদেশি প্রকৌশলীদের সাথে আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা অভিজ্ঞতা বিনিময়েরও সুযোগ পাবেন। আর তাতে দেশের প্রকৌশলীদের মান আরও বাড়বে বলে আশা করছি। এই সদস্য পেলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এ দুটি প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ সদস্যপদ লাভে আইইবি’র সম্মানীত আজীবন সদস্য ও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব দিক দিয়ে সহযোগিতার করছেন আমাদের। আমার প্রকৌশলীরা এ সরকারের আমলে আগের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছি। কারণ প্রধানমন্ত্রী নিজেই একজন প্রকৌশলী বলে আমি মনে করি। কারণ তাঁর হাত ধরেই তো এগিয়ে যাচ্ছে স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি প্রকৌশলীদের আরও দক্ষ করে তোলার ব্যাপারে সবসময় সচেতন থাকেন। আমরা প্রকৌশলীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here