দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে রাণীনগরের প্রতিমা শিল্পীরা

0
596

সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দূর্গা পূজা। আর মাত্র কিছু দিন বাঁকি শারর্দীয় দূর্গা পূজার। দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পূজা মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। এবছর রাণীনগর উপজেলায় ৪৯টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দির গুলোতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জার পস্ততি। ইতি মধ্যে বেশির ভাগ মন্ডপ গুলোতে প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ প্রায় শেষ। শুরু হয়েছে রং তুলি ও সাজসজ্জার কাজও।

আর মাত্র কিছু দিন পর শুরু হবে ৫ দিন ব্যাপী হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দূর্গা পূজা। রাণীনগরে স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানে এসে প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ করছেন। অন্যদিকে প্রতিমার পাশাপাশি পূজাকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে বাদ্যযন্ত্র ঠিক ও তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাক-ঢোল, কাঁশি, ও বাঁশির কারিগররা।

এ দিকে দেবীকে স্বাগত জানাতে আনন্দ-উৎসব বিরাজ করছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সব ধরনের শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষের মধ্যে। সব মিলিয়ে ব্যাপক প্রস্ততি চলছে রাণীনগরের প্রতিটি পূজা মন্ডপে।

প্রতিমা শিল্পী শ্রী নিমাই চন্দ্র বলেন, মাটির কাজ শেষে হলেই শুরু হবে রং তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি আমরা যেন সবার চেয়ে আমার প্রতিমা তৈরির কাজ ভালো হয়। আশা করছি র্নিধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে প্রতিমা তৈরীর কাজ।

রাণীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি শ্রী চন্দন কুমার মহন্ত বলেন, এবছর সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ৪৯টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রায় সব ধরণের প্রস্ততি নিয়েছি। আনন্দঘন ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পূজা শেষ হবে বলে তিনি আশা করছেন।

এব্যাপারে রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দূর্গা পূজা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দির গুলোতে নিরাপত্তাসহ শান্তিপূর্ন ভাবে এ উৎসব সম্পূন্ন করার লক্ষে প্রায় সকল প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বছরের চাইতে এবার ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনছার ও গ্রামপুলিশ মোতায়েন করা হবে। মন্ডপের সংখ্যা বাড়বে না কমবে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। পূজায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আশা করছেন তিনি।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here