দুষ্কতিকারীদের দ্বারা বর্তমান সরকার পরিচালিত হচ্ছে:রুহুল কবীর

0
251

খবর৭১:দুষ্কতিকারীদের দ্বারা বর্তমান সরকার পরিচালিত হচ্ছে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শনিবার(১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

রিজভী বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে এখন পর্যন্ত বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের দেড়শো প্রার্থীর ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা হয়েছে।

তিনি বলেন, দু’জন প্রার্থীকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে আইনি জটিলতা সৃষ্টি করে প্রার্থী হওয়া অনিশ্চিত করে রাখা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক প্রার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামালসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা হয়েছে।

হামলা করার পর গতকাল শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) ড. কামাল হোসেনের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা দায়েরের মাধ্যমে সরকার যে বার্তাটি দিলো তা নিম্ন রুচির। সরকারের কাছে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা ছাড়া আর কারো কানাকড়ি মূল্য নেই। এই খ্যাতিমান আইনজীবী ও দেশের সংবিধান প্রণেতাকে মামলার মাধ্যমে যে অপমান করা হলো সেটি সারা জাতিরই অপমান। এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো সরকার পরিচালিত হচ্ছে দুষ্কতিকারীদের দ্বারা।

ড. কামাল হোসেন সাহেবের ‘খামোশ’ বলা যদি অন্যায় হয়ে থাকে। তবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই এইচ টি ইমাম যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদেরকে ধমকিয়ে বলেন কই আপনি তো এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেখাননি।

এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের ধমকিয়ে বলেন ‘তুমি কি বিএনপি যে বিএনপি’র মতো প্রশ্ন করো ? তুমি কি মওদুদ ?’ এসব কথা যখন বলা হয় তখন আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কোন প্রতিক্রিয়া দেখান না। কারণ আপনি একচ্ছত্র ক্ষমতার মালিক, আপনার বিরুদ্ধের রাজনৈতিক শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য নিজেদের ক্যাডারদেরকে লেলিয়ে দিয়েছেন।

রিজভী বলেন, পুলিশকে সন্ত্রাসীদের উৎসাহদাতা হিসেবে আপনি মদদ দিয়েছেন। আপনার আমলে যারা মামলা, মোকদ্দমার শিকার, গ্রেফতারের শিকার তারা ন্যায়ের পক্ষে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে। আজকের চলমান ন্যায় ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের তারা মুক্তিযোদ্ধা।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তফসিল ঘোষণার পরে পুলিশের কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। ক্ষমতাসীন দল ও নির্বাচন কমিশন একই ঝাঁকের কৈ। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য ও কার্যকলাপ পুলিশের ভয়ঙ্কর দমনের প্রবণতাকে আরও উসকে দিচ্ছে। দেশব্যাপী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ঘুম কেড়ে নিয়েছে পুলিশের চিরুনী তল্লাশি।

দেশব্যাপী অকল্পনীয় সহিংসতা, রক্তপাত ও পুলিশি আক্রমণের বিষয়ে কমিশনে অভিযোগ দিলেও ইপ্সিত ফল মেলেনি। নির্বাচন কমিশন, দেশের কিছু আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, আত্মা বিক্রি করা কিছু সাংবাদিক ক্ষমতার বিষাক্ত প্রতিক্রিয়ায় যেন মনে হয় মূমুর্ষ রোগী, যেন মারণরোগে তারা আক্রান্ত হয়েছে। তারা ড. কামাল হোসেন সাহেবের গাড়িতে আক্রমণের সাফাই গাইছেন, তার মতো বরেণ্য ব্যক্তিকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলছেন। এই সাফাইকারি ক্রীতদাসদের কারণেই বাংলাদেশ এখন দূর প্রস্তর যুগে ফিরে যাচ্ছে। তবে আমি অবৈধ শাসকগোষ্ঠী, নির্বাচন কমিশন এবং তাদের দুষ্কর্মের সঙ্গীদের জানিয়ে রাখতে চাই। জনগণের শ্রবণেন্দ্রীয় সর্বক্ষণ প্রস্তুত আছে। কে কি বলছেন কিছুই এড়িয়ে যাচ্ছে না। আমি গণফোরামের সভাপতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে অসম্মানজনক মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here