দুপচাঁচিয়া(বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
দুপচাঁচিয়ায় নাগরনদের সীমানায় বাড়ি নির্মানের জন্য কনক্রিটের পিলার(কলম) তোলার অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নির্মানাধীন পিলার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। জানা যায়, দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের পৌর এলাকার সুখানগাড়ী মৌজায় পৌরভবনের পেছনে চকসুখানগাড়ী এলাকার বারীউন্নাহার বাড়ি নির্মান শুরু করে। কিন্তু ওই নির্মানাধীন বাড়ির কিছু অংশ নাগরনদের সীমানায় পড়ে। এ ব্যাপারে নির্মানাধীন বাড়ির নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য উপজেলা সহকারী`
কমিশনার(ভূমি) অফিসের পক্ষ থেকে নোটিশ প্রদান করা হয়। বাড়ির মালিক ওই নোটিশ আমলে না নিয়ে উল্টো নির্মান কাজ চালিয়ে যায় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)কে বিবাদী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
নির্মানাধীন বাড়ির মালিক বারীউন্নাহার এর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, জায়গাটি আমার। কিন্তু ভূমি অফিস থেকে আমাকে বাড়ি নির্মান বন্ধের জন্য নোটিশ প্রদান করা হয়। যেহেতু জায়গাটি আমার তাই আমি ওই নোটিশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আদালত যে রায় দিবে সেটি আমি মেনে নিবো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জাকির হোসেন বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল ১৯৯০ এর ৩৪৬ বিধি অনুযায়ী নদীর ফোকশোর অংশে(সম্মুখ কিনারা) সরকারের স্বার্থ বিদ্যামান। উক্ত স্থাপনাটি ঠিক নাগরনদের প্রবহমান নদের মাঝামাঝি ফোকশোর অংশে নির্মিত হচ্ছিল। তাই ফৌজদারী কার্যবিধির ১৩৩ ধারা অনুযায়ী আমি অভিযান চালিয়ে উক্ত স্থাপনাটির পিলার ভেঙ্গে দিয়েছি। সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, স্থাপনাটি নির্মানে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষেরও কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি।
খবর ৭১/ইঃ