দুদকে হাজির হতে সময় চান ডিআইজি মিজান

0
442
ডিআইজি মিজানের জামিন নামঞ্জুর
সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজান

খবর৭১ঃ
দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে আজ যাচ্ছেন না ডিআইজি মিজান। জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হতে পারবেন না সদ্য সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের ডিআইজি মিজান।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান। রোববার হাইকোর্টে এ আবেদন জানানো হয়। এদিকে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল আজ। কিন্তু এর আগেই তিনি হাজির হওয়ার জন্য সময় চেয়ে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লার কাছে আবেদন করেছেন। রোববার তিনি চিঠি দিয়ে এ আবেদন করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন তাকে ৮ জুলাই হাজিরের জন্য নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি সময় চেয়ে দুদকের কাছে চিঠি দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, দুদক টিমের জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক পরিচালক এমএ আজিজ ভুঁইয়া বলেছেন, ডিআইজি মিজানের সঙ্গে আগে থেকেই তার পরিচয় রয়েছে। তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে দু-একবার কথাও হয়েছে। তবে তিনি হোটেল ভিক্টরিতে কোনো গোপন বৈঠকে অংশ নেননি। তিনি ডিআইজি মিজানের সঙ্গে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছিলেন। সেখানে তাদের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে, ডিআইজি মিজান সেটি তার মুঠোফোনে ধারণ করে থাকতে পারেন।

এদিকে, ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী রত্না রহমান, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদের মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম এ বিষয়ে কাজ করছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক ও নেয়ামুল হক গাজী। মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে টিমের পক্ষ থেকে রোববার প্রয়োজনীয় নথিপত্রের মূল কপি চেয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও বরিশার জেলা রেজিস্ট্রার, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ডেভেলপার কোম্পানি নির্মাণ ও এলিয়েন ইনভেনশনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ডিআইজি মিজান তার স্ত্রী ও ভাগ্নের নামে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। ২৪ জুন বহু নাটকীয়তার পর ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে দায়ের করা হয়। দুদকের সংশোধিত বিধি গেজেট হওয়ার পর ওটাই ছিল নিজস্ব কার্যালয়ে প্রথম মামলা। ওই মামলায়ও ডিআইজি মিজানসহ চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে তার স্ত্রী ২৪ জুন রাতেই দেশত্যাগ করেন। তিনি কীভাবে কোন ফ্লাইটে দেশ ছেড়েছেন, কোন এজেন্সি থেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন, দুদকের টিম সে বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। তবে ডিআইজি মিজান ও তার ভাই, ভাগ্নে যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুদক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here