দুই জেলায় গত বছরের প্রশ্নে পরীক্ষা

0
485
দুই জেলায় গত বছরের প্রশ্নে পরীক্ষা

খবর৭১ঃ দুই জেলায় হল সুপার ও কক্ষ পরির্দশকের ভুলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছেন পরীক্ষার্থী। এমন ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান পরীক্ষার্থী ও অভিভাকরা।

বরিশাল: নগরীর হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের বহু নির্বাচনী পরীক্ষা ভুল প্রশ্নে গ্রহণ করা হয়েছে। এতে প্রায় শতাধিক নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের সিলেবাসে অর্থাৎ অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নে উত্তর লিখতে হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বহু নির্বাচনী পরীক্ষা ৩০ মিনিটের ও ৩০ নম্বরের। এই পরীক্ষা প্রথমেই দিতে হয়। তাদের সুযোগ ছিলোনা হলে বসে সিলেবাস যে ২০১৮ সালের ছিল তা দেখার। এই ভুল যারা প্রশ্ন বণ্টন করেছে তাদের।

এতে করে ২০২০ সালের নিয়মিত পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ায় সম্ভাব্য ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। সারা দেশের সাথে একযোগে বরিশালেও প্রথম দিন এসএসসি’র বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা হলে পুরনো সিলেবাসের প্রশ্ন পেয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে অন্যান্য কক্ষের পরীক্ষার্থীদের সাথে প্রশ্ন মেলাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ঐ কেন্দ্রের দুটি কক্ষের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দেখতে পায়, ভুল প্রশ্নপত্রে নেওয়া হয়েছে তাদের বাংলা প্রথম পত্রের নৈবত্তিক পরীক্ষা। এ কারণে তারা প্রত্যাশা অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারেনি। এতে তাদের সার্বিক ফলাফলে বড় ধরনের প্রভাবের আশঙ্কা করছে।

এদিকে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার খবরে হালিমা খাতুন বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস। কেন্দ্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টরা ভুল করেছেন উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানান বোর্ড চেয়ারম্যান।

নীলফামারী: হল সুপার ও কক্ষ পরির্দশকের ভুলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে এক ঘণ্টার বেশি সময় পরীক্ষা দিয়েছে ৯৮জন পরীক্ষার্থী। এমন ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান পরীক্ষার্থী ও অভিভাকরা। তবে হল সুপার বলছেন সামান্য ভুলে তেমন সমস্যা হয়নি পরীক্ষার্থীদের।

জানা যায়, সোমবার শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় নীলফামারী রাবেয়া বিদ্যা নিকেতন কেন্দ্রে চারটি বিদ্যালয় থেকে নিয়মিত ৬১৯জন এবং অনিয়মিত ১জনসহ মোট ৬২০জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ওই কেন্দ্রের ৫নং কক্ষে ৫জন এবং ৮নং কক্ষে ৯৩জন পরীক্ষার্থী মধ্যে ২০২০ সালের স্থলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন হল সুপার। পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টার পর পরীক্ষার্থীরা ভুল প্রশ্নপত্র সরবারহের বিষয়টি কক্ষ পরিদর্শকে অবহিত করেন।

পরবর্তীতে কক্ষ পরিদর্শক হল সুপারকে বিষয়টি অবহিত করলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলে বেলা ১২টার দিকে নতুন করে ২০২০ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে উক্ত ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়া হয়। পরীক্ষার্থীরা আগের লেখা খাতায় নতুন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেন।

ভালো পরীক্ষা দিতে না পেরে মনোবল ভেঙ্গে গেছে পরীক্ষার্থীদের। এই পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। পরীক্ষার্থীদের এমন বিভ্রান্তিতে ফেলেও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি রাবেয়া বিদ্যা নিকেতনের হল সুপার মহাফিজুর রহমান খান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here