দির্ঘ দিন পর চালু হতে যাচ্ছে গলাচিপার বুড়োগৌরাঙ্গ নদীতে ফেরি

0
228

রাকিব হাসান , পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

অবশেষে পুরন হচ্ছে লাখ মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত স্বপ্ন। পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে তাদের এ স্বপ্ন পুরন হতে যাচ্ছে। বুধবার অনুষ্ঠানিক এ ফেরি সার্ভিসের উদ্ভোধন করবেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি ও পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ।

জেলার অন্যতম ও বিপদসঙ্কুল নদী বুড়াগৌরাঙ্গা প্রায় আট কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ নদটির উৎস মুখ বঙ্গোপসাগরে। ফলে সামান্য বায়ু প্রবাহে বছরের অধিকাংশ সময় নদটি উত্তাল থাকে। বহুবার ঘটেছে নৌদুর্ঘটনা। ২০০৫ সালে লঞ্চডুবিতে শতাধিক যাত্রী মারা যায়। নদটি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরকাজল, চরবিশ্বাস, দশমিনা উপজেলার চরবোরহান, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ও ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের প্রায় ৭০টি গ্রামকে মূল ভূখন্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। এসব এলাকার মানুষের উপজেলা-জেলা সদরে যাতায়াতে যুগের পর যুগ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। দিনের বেলা নদটিতে ঝুঁকিপূর্ণ খেয়া পারাপারের কোন রকম ব্যবস্থা থাকলেও রাতে তা পুরোপুরি বন্ধ থাকে। এসময় দুর্ভোগ হয় আরও তীব্র।

স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার চার উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন পাঁচটি ইউনিয়নের অন্তত ৭০টি গ্রামের আড়াই লাখ মানুষ এ ফেরি সার্ভিস চালুর ফলে সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছে। এসব এলাকার কৃষি, মৎস্য, পর্যটন এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতেও লাগতে যাচ্ছে ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া। এর মাধ্যমে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটি চাওয়া পূরণ হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন-উর-রশিদ জানান, নৌমন্ত্রীর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ‘কেতকী’ নামের একটি অত্যাধুনিক ফেরি সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। ফেরিতে এক সঙ্গে অত্যন্ত ২০-২৫টি গাড়ি পারাপার করা যাবে। এরই মধ্যে নদের বদনাতলী ও চরশিবা ঘাটে জেটি স্থাপন করা হয়েছে। নদটিতে কিছু ডুবোচর রয়েছে। তা অপসারণে ড্রেজিং করা শুরু হয়েছে। এ ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীর দীঘ যুগের্র দুর্ভোগের অবসান হতে যাচ্ছে।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here