খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ সদ্য প্রকাশিত দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার ১৬টি মাদ্রাসা থেকে ৪৩৭ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। এবারে ওইসব মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ৪৯৬ জন। দুইটি মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে তিনজন। শতভাগ পাশের তালিকায় এসেছে দুইটি প্রতিষ্ঠান। এতে উপজেলার ১৬টি মাদ্রাসার পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৮৮.১০%।
উপজেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুমারগাড়ী দাখিল মাদরাসা থেকে ২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এদের সকলেই পাশ করেছে। পাশের হার ১০০%। পূর্ব বেলপুকুর সাতপাই বালিকা দাখিল মাদরাসা ৫ জন পরীক্ষার্থীর সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। এ মাদ্রাসারও পাশের হার ১০০%। সোনাখুলী মুন্সিপাড়া কামিল মাদরাসা ৭০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬৯ জন। পাশের হার ৯৮.৫৭%। এ প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাশের সফলতা না পেলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২জন শিক্ষার্থী। লক্ষণপুর বালাপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা ২৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২২ জন। পাশের হার ৯৫.৬৫%। হাজারীহাট মোহাম্মাদীয়া আলিম মাদরাসার পরীক্ষার্থীর ছিল ৩৭ জন। পাশ করেছে ৩৫ জন। পাশের হার ৯৪.৫৯%। সৈয়দপুর আসমতিয়া দাখিল মাদরাসা ১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১২ জন। পাশের হার ৯২.৩১%। উত্তর সোনাখুলী সরকারপাড়া দাখিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষার্থী ছিল ৫১ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৭ জন।
পাশের হার ৯২.১৬%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন। চাপড়া কাশিরাম আলিম মাদরাসা ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২১জন পাশ করেছে। পাশের হার ৯১.৩০%। পোড়ারহাট সিদ্দিকীয়া আলিম মাদরাসা ৫৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৯ জন। পাশের হার ৮৭.৫০%। আইসঢাল খিয়ারপাড়া আলিম মাদরাসা পরীক্ষার্থী ছিল ৩৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮ জন। পাশের হার ৮৪.৮৫%। মুশরুত ধুলিয়া দাখিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩৩ জন। পাশ করেছে ২৮ জন। পাশের হার ৮৪.৮৫%। সৈয়দপুর রাজ্জাকিয়া গফুরিয়া দাখিল মাদরাসা ২৫ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২১ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৮৪%। শ্বাষকান্দর সিনিয়র মাদরাসা ৪১ জনে পাশ করেছে ৩৪ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৮২.৯৩%। হাজীপাড়া দাখিল মাদরাসা থেকে পরীক্ষা দেয় ১৭ জন পরীক্ষার্থী। উত্তীর্ণ হয়েছে ১২ জন।
পাশের হার ৭০.৫৯%। পশ্চিম বেলপুকুর মাঝাপাড়া বালিকা দাখিল মাদরাসা ৩৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২৩ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার ৬৯.৭০%। হুকলীপাড়া একরামিয়া দাখিল মাদরাসার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৩ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ৮। পাশের হার দাঁড়িয়েছে ৬১.৫৪%।
