দাঁত ও মাড়ির যত্নে সচেতনতা

0
446

খবর৭১ঃআজ বিশ্ব মুখগহ্বর স্বাস্থ্য দিবস। এ দিবসে ব্যক্তিগত পর্যায়ে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে মুখের যত্নে সর্বোচ্চ সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

দাঁত ও মাড়ির যত্নে যা প্রয়োজন- দাঁত পরিষ্কারের সঠিক নিয়ম জানা, চিনির তৈরি খাবার না খাওয়া, দাঁতে ব্যথা, মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া এবং মুখে নানা ধরনের ঘা ও শিরশির অনুভূতি হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

দোকানির পরামর্শে ওষুধ না খাওয়া এবং অনুমোদিত ডেন্টাল চিকিৎসক ব্যতীত অপচিকিৎসা না নেয়াও দাঁতের যত্নের অন্যতম উপায়। কারণ দাঁতের চিকিৎসা করতে গিয়ে রোগীর নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।

যেমন রোগী শক-এ চলে যেতে পারে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে, শ্বাসকষ্ট হতে পারে- এই ইমার্জেন্সি মোকাবেলায় স্বীকৃত ডেন্টাল সার্জনদের সক্ষমতা থাকে।

সুস্থ দাঁতের অনেক কাজ আছে। যেমন উপযুক্ত চর্বনের মাধ্যমে গৃহীত খাদ্যকে হজমের উপযোগী করে তোলা ফলে দেহ পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়। মুখের আকৃতি বজায় রাখতে ও সৌন্দর্য প্রকাশে দাঁত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

স্পষ্ট উচ্চারণেও দাঁত জরুরি। সুস্থ দাঁত দিয়ে উপযুক্তভাবে খাদ্য চর্বনের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন পর্যাপ্ত হয় ফলে কাজে প্রফুল্লতা আসে।

মুহগহ্বরে রোগ যদি পুষে রাখা হয় তবে দাঁতে গর্ত বা ক্যারিজ থেকে ইনফেকশন মুখগহ্বরের হাড়ে পৌঁছে সেখানে পুঁজ, সিস্ট হয় এবং সেলুলাইটিসের মতো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়।

মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া ও দাঁত নড়ে যাওয়া- এ জটিলতার প্রকাশ। দীর্ঘ মেয়াদি মাড়ি ও দাঁতের রোগ থেকে হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, যকৃত, অগ্নাশয়, ফুসফুস ও হাড় ক্ষয়ের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের দাঁত ও মাড়ির নানা ধরনের সমস্যা হয়। সচেতনতা ও দাঁত পরিচর্যায় নিয়মিত অভ্যস্ত হলে মুখের সিংহভাগ রোগকে প্রতিরোধ করা যায়।
খবর৭১/এসঃহ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here