দলবল দেখে আমরা আদেশ দিই না: প্রধান বিচারপতি

0
275

খবর৭১: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, দলবল দেখে আমরা আদেশ দিই না। খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখে আপিল বিভাগের রায়ের শর্ট অর্ডার চাইতে গেলে খালেদার আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে তিনি একথা বলেন।

বুধবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বহালের সংক্ষিপ্ত আদেশ চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে তার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আদালত বলেছেন, সংক্ষিপ্ত আদেশ দেওয়ার বিধান আপিল বিভাগের রুলসে নেই। তবে তাড়াতাড়ি জামিনের রায় প্রকাশ করা হবে বলে খালেদার আইনজীবীকে আশ্বস্ত করা হয়।

আপিল বিভাগের বিরতির পর সকাল সাড়ে ১১ টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার জামিনের সংক্ষিপ্ত আদেশ চাচ্ছি। বেল বন্ড দাখিল করার জন্য সংক্ষিপ্ত আদেশ দরকার। আপনাদের আজকের রায় পত্র পত্রিকায়, টিভিতে প্রচারিত হয়েছে। হয়তো আপনাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। আমাদের দিতে অসুবিধা নেই।

তখন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আপত্তি জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়াতো আরো কয়েকটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট আছেন। তাছাড়া আপিল বিভাগ থেকে এ ধরনের শর্ট অর্ডার দেওয়ার নজির নেই।

তখন বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, এ ধরনের শর্ট অর্ডার দেওয়ার নজির নেই।

তখন প্রধান বিচারপতি খালেদার আইনজীবীকে বলেন, আপনার আবেদন রিফিউজ (নাকচ) করা হলো।

এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, হাইকোর্ট বিভাগের রুলসে শর্ট অর্ডার দেওয়ার বিধান আছে।

বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী প্রশ্ন করেন, হাইকোর্টের বিধান কি আমাদের জন্য মানা বাধ্যতামূলক?

জবাবে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি তা বলছি না। আপনারা চাইলে তা দিতে পারেন।

প্রধান বিচারপতি আবার বলেন, আপনার আবেদন রিফিউজ (নাকচ) করা হলো।

আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন,আমি তো একা এসেছি। দলবল নিয়ে আসেনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা কেমন কথা? দলবল নিয়ে আসলেই কি আমরা আদেশ দিয়ে দিই? দলবল দেখে আমরা আদেশ দিই না।

বেঞ্চের অপর বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার এ জে মোহাম্মদ আলীর মন্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, আপনি গুরুতর আপত্তিকর কথা বলেছেন। আপনি আমাদের ফোর্স করতে পারেন না। আপনারা ভুলে যান যে, কোর্টে আপনারা আইনজীবী। অফিসার অব দ্যা কোর্ট। কোন দলের লোক নন।

তখন এ জে মোহাম্মদ আলী তার মন্তব্যর জন্য আদালতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ জে মোহাম্মদ আলীকে বলেন, প্রধান বিচারপতি যেখানে নাকচ করে দিয়েছেন সেখানে আপনি তর্ক করছেন কেন?

শেষে প্রধান বিচারপতি বলেন, আপনার আবেদন আমরা বিবেচনা করতে পারলাম না। বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here