থেমে নেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ, শুক্রবারও এসেছে ২ শতাধিক

0
290

খবর ৭১:বাংলাদেশ-মিয়ানমার যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের পারিবারিক তালিকা প্রণয়নের কাজ চলতে থাকলেও থেমে নেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ। শুক্রবার আরও ২ শতাধিক রোহিঙ্গা শাহপরীর দ্বীপসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে।

কী কারণে এসব রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করছে তা-ও স্পষ্ট নয়। তবে রোহিঙ্গারা বলছে, খাদ্য সংকটের কারণে এ দেশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছে তারা। এসব রোহিঙ্গাকে সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা এনজিওর সহযোগিতায় উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় দিয়েছে।

শুক্রবার উখিয়ার টিভি রিলে কেন্দ্রসংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া বুচিদংয়ের নুরুল আমিন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের গ্রামে প্রায় শতাধিক রোহিঙ্গা পরিবার এপারে না আসার চেষ্টা করে বসতবাড়ি আঁকড়ে ধরে দীর্ঘদিন মিয়ানমারে অবস্থান করছিল। কিন্তু মিয়ানমার সেনাদের আচরণ, ব্যবহার ও তাদের হিংসাত্মক মনোভাব এখনও অপরিবর্তিত। তাদের বাড়ি থেকে বের হতে না দেয়া ও হাটবাজারে যাওয়া-আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় তারা ঘর থেকে বাইরে যেতে পারছেন না। এতে করে অনাহারে-অর্ধাহারে তাদের দুর্বিষহ জীবনযাপন করতে হচ্ছে। ক্ষুধার্ত ছেলেমেয়েদের কান্না সইতে না পেরে শাহপরীর দ্বীপ পয়েন্ট দিয়ে তারা এপারে (বাংলাদেশে) চলে আসেন। এভাবে প্রায় রোহিঙ্গা একই দুর্বিষহ জীবন যাত্রার আকুতি জানাতে দেখা গেছে।

বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এসব রোহিঙ্গার খাবার পানি, খাদ্য, ত্রাণ ও ওষুধসামগ্রী বিতরণ করছে। এনজিও সংস্থা জানায়, শুক্রবারের মধ্যে এসব রোহিঙ্গার বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিশ্চিত করা হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহেদ হোসেন ছিদ্দিকী জানান, শুক্রবার সকালে সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ২ শতাধিক রোহিঙ্গা এপারে এসেছে বলে শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানি না।

টেকনাফ থানার ওসি মো. মাঈন উদ্দিন জানান, শুক্রবার শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ২ শতাধিক রোহিঙ্গা এপারে এসেছে। এসব রোহিঙ্গার উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।

খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here