খবর৭১ঃ সাত ম্যাচরে ত্রিদেশীয় সিরিজ পর্দা নামলো গতকাল। শুক্রবার (১৮ মে) আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে বাংলাদেশ-উইন্ডিজের ফাইনালে ৫ উইকেটের জয় দিয়ে শিরোপা ঘরে তুলে মাশরাফি বাহিনীরা। প্রথমবারের মত বহু জাতীয় কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপা এটি। টাইগারদের এই শিরোপা জিততে সময় লেগেছে ১০টি বছর। খেলেছে ফাইনাল, যার মধ্যে লাকি সেভেনে গিয়ে কাক্সিক্ষত শিরোপাটি নিজেদের করে নিতে পারে টাইগারা।
ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরু থেকেই ব্যাট-বলে দারুণ লড়াই করেছে বাংলাদেশ। অপরাজিত চ্যাম্পিয়নও হয়েছে স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চার ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল একটি। আর চার ম্যাচের চারটিতেই দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
সদস্য সমাপ্ত এ সিরিজে সর্বোচ্চ রান এসেছে উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান শাই হোপের ব্যাট থেকে। ৫ ম্যাচ খেলে হোপের সংগ্রহ ৪৭০ রান। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ১৭০ রানের , আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। আর ব্যাটিং গড় ৯৪। আছে দুই শতকের পাশাপাশি দুই অর্ধশতকও।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা পাঁচে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন সৌম্য সরকার। তিন ম্যাচে ১৯৩ রান করেছেন সৌম্য। ৬৪ গড়ে সৌম্যর সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৭৩ রান। আর টানা তিন অর্ধশতকও হাঁকিয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে চতুর্থ দ্রুততম ফিফটিও স্পর্শ করেছেন বামহাতি এই ওপেনার।
সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকাতেও দাপট ক্যারিবীয়দের। শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহক শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। চার ইনিংসে গ্যাব্রিয়েলের সংগ্রহ ৮ উইকেট। সেরা পাঁচে বাংলাদেশের আছে মুস্তাফিজুর রহমান এবং অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। দুইজনই সংগ্রহ করেছে ছয়টি করে উইকেট। মাশরাফি চার ম্যাচ খেললেও তিনটি ম্যাচ খেলেছেন মুস্তাফিজ। কাটার মাস্টার কিছুটা খরুচে বোলিং করলেও কৃপণ বোলিং করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি।
সিরিজে সর্বোচ্চ ক্যাচ লুফে নিয়েছেন উইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। পাঁচ ম্যাচে চারটি ক্যাচ নিয়েছেন এই ক্যারিবীয় ক্রিকেটার। আর এক ম্যাচে তিনটি ক্যাচ নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন টাইগার ক্রিকেটার লিটন দাস।