ত্রাণ সহায়তায় মিয়ানমারের বাধাও যুদ্ধাপরাধ

0
438
FILE PHOTO: Men walk at a Rohingya village outside Maugndaw in Rakhine state, Myanmar October 27, 2016. To match Special Report MYANMAR-FACEBOOK/HATE REUTERS/Soe Zeya Tun/File Photo

খবর৭১ঃদক্ষিণ রাখাইনে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য জীবন রক্ষাকারী সাহায্য পৌঁছাতে মিয়ানমার সরকার বাধা দেয়ায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ফোর্টিফাই রাইটস। মিয়ানমারে মানবাধিকারের অপব্যবহারের জন্য দায়ীদের বিচারের মুখে দাঁড় করাতে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ার মধ্যে মানবাধিকার সংগঠনটি বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছে।

গণহত্যার উদ্দেশ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও গণধর্ষণ চালিয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনের কয়েক দিন পর ফোর্টিফাই রাইটস তাদের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করল।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অস্বীকার করে মিয়ানমার সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিথ্যা অভিযোগ বানিয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনটি মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর গভীরভাবে নজর রাখে। পাঁচ বছর ধরে ২০০ মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সংগঠনটি ওই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে। সাক্ষাৎকার নেয়া বেশিরভাগ মানুষই কাচিন রাজ্যের অধিবাসী।

রাখাইনের সংঘর্ষ-বিক্ষুব্ধ অঞ্চলগুলোতে ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রবেশে বাধা দেয়ার জন্য সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার। তা ছাড়া, কাচিন ও উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু গেরিলা ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষকে মিয়ানমার বিচ্ছিন্ন করে রাখছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

মিয়ানমারে ফর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডেভিড বাউলক বলেন, মিয়ানমার সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কাচিন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষকে মানবিক ত্রাণ থেকে বঞ্চিত করে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। তাদের এ কার্যকলাপ যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হতে পারে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত বিষয়টি তদন্তের জন্য মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানো।

ফর্টিফাই রাইটস তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করে বলেছে, মিয়ানমারের সরকার নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে এ বছর জুন পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণ কর্মীদের করা আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশ মঞ্জুর হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনের এসব অভিযোগের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জো হতায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এ নিয়ে মন্তব্য করতে পারছেন না বলে জানান।

তবে মিয়ানমারে কর্মকর্তারা অতীতে ত্রাণ বিতরণে বাধা দেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলে এসেছেন যে, গেরিলারা ত্রাণকে তাদের বিদ্রোহী তৎপরতার সমর্থনে কাজে লাগাচ্ছে বলেই তারা এতে বাধা দিচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here