ত্যাগী সাহসী চার পুলিশ কর্মকর্তা পরিশ্রমের সুফল ভোগ করছেন এখন নড়াইলবাসী”

0
253

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম পিপিএম, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন এই চারজন পুলিশ কর্মকর্তা তাঁদের কর্মগুণে নড়াইলবাসী প্রাণে পরিণত হয়েছেন। নড়াইল জেলা পুলিশ প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে থেকেও এই মহৎপ্রাণ মানুষগুলো সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। যার দরুণ দিনে দিনে তাঁরা নড়াইলবাসীর অবিচল আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন। তাঁদের নির্দেশ ও সফল অভিযানে নড়াইলকে মাদকমুক্ত করতে, নড়াইল থেকে ফেরারী ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামিদের ধরে নিশ্চিত নিরাপত্তা বিধান করতে এবং নড়াইল জেলা পুলিশের অব্যাহত গতিকে সচল রাখতে এই চার পুলিশ কর্মকর্তা স্বশরীরে তদারকি করে যাচ্ছেন। এদিকে নড়াইল (সদর সার্কেলের) সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মেহেদী হাসানের পরিশ্রমের সুফল ভোগ করছেন নড়াইলবাসী। নড়াইল সদর সার্কেল তো বটেই এরপরও আশপাশ থানা লো এখন আগের চাইতেও আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত। এই জেলার সকল থানার ল এন্ড অর্ডার এখন শতভাগ কার্যকর। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম পিপিএম বিশেষজ্ঞ একজন পুলিশ কর্মকর্তা মাদককে কন্ট্রোলে এনে সমূলে ধ্বংস করবে বলে জানান সচেতন মহল। তিনি খুনের সাথে জড়িতদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতারের নির্দেশ পরবর্তী সার্বক্ষণিক মনিটরিং সহ তদারকি কাজে নিয়োজিত থাকতে যার সুফলও পাচ্ছে জেলাবাসী। সাহসী ও দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কৃতিত্ববান তিনি। অন্যদিকে নড়াইল জেলা শহরসহ হাইওয়ে পুলিশকে নিজ আয়ত্বে নিয়ে এসে অবিরাম নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিতে সিদ্ধ হস্ত সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আলোচিত এই চার পুলিশ কর্মকর্তা স্বস্ব অবস্থানে অবিচল। ত্যাগী এবং সাহসী। পুলিশ বিভাগে এই কর্মকর্তারা মেধাবী বলেই তাদের কাজের সুনাম বয়ে এনেছে নড়াইলে একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে এর সাথে জেলা পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জল হচ্ছে। জানা গেছে, নড়াইলে মাদক ও জুয়ার সাথে তীব্রতা বাড়লে ঝড় তুফানের মতো এগিয়ে আসেন, কঠোর হস্তে দমন করেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দীন পিপিএম। যে কোনো হামলা এবং ধ্বংসাত্মক কাজে বেপরোয়া আসামদের সনাক্ত করতে তড়িৎ কাজে লেগে যান তিনি। জেলাতে খুনের ঘটনা ঘটলে কিংবা অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ছুটে যান এই মহৎপ্রাণ মানুষটি। এই চার পুলিশ কর্মকর্তার নিরলস পরিশ্রম জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে। অপরাধ জগতের যারা ঘৃণ্য পরিব্রাজক তারা এখন পালাতে শুরু করেছে। এই দৃষ্টান্ত অনন্য, অসাধারণ, অসামান্য। কারণ নড়াইল জেলা পুলিশ মাদকমুক্ত জেলা গড়ার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অবিরাম চেষ্টা করে চলেছে। অপরাধকে নিয়ন্ত্রণে আনার এবং অচিরেই নড়াইল জেলাবাসী দেখতে পাবেন একটি অপরাধমুক্ত নড়াইল জেলা। অপরদিকে নড়াইলের পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন পিপিএম’র নের্তৃত্বে ৩০ দিন পর বাড়ি ফিরল ১০০ পরিবার,আটক-৫ নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নের্তৃত্বে ৩০ দিন পর বাড়ি ফিরল ১০০ পরিবার! এসময় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আসামিপক্ষের অত্যাচার ও ভয়ভীতির কারণে বাড়িছাড়া নড়াইলের পারমল্লিকপুর গ্রামের ১০০ পরিবারকে বাড়িতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। এসময় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। জানাগেছে, পারমল্লিকপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য উজ্জ্বল ঠাকুর ও সাবেক ইউপি সদস্য হিমায়েত হোসেন পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২১ এপ্রিল উজ্জ্বল ঠাকুর পক্ষের লোকজন খায়ের মৃধাকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এদিকে, খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিহত খায়ের মৃধার স্বজন ও পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ আসামিপক্ষের প্রায় একশত পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাটসহ অরাজকতা সৃষ্টি করে। অত্যাচার ও হুমকি ধামকিতে বাড়িঘর ছেড়ে ওইসব পরিবার তাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। ভুক্তভোগী পরিবার গতকাল নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। তারা বাড়িতে উঠতে পারছেন না এ বিষয়ে অবহিত করেন। এর প্রেক্ষিতে তাদেরকে শুক্রবার বেলা ১১টায় খলিশাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হতে বলা হয়। সেখান থেকে তাদের সঙ্গে করে পুলিশ বাড়িতে তুলে দেয়। শুক্রবার এসব পরিবারের সদস্যরা সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসানের কাছে তাদের ওপর অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ওই খুনের পর তাদের মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, পরে বাড়িতে উঠতে গেলেও মারধর করেছে। ঘরের মালামাল ও গরু ছাগল লুট করেছে, গাছপালা ও খেতের ফসল কেটে নিচ্ছে। সহকারী পুলিশ সুপার মো. মেহেদী হাসান এ বিষয়ে নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, ভূক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই গ্রামের দুলাল ঠাকুর, আনিস ঠাকুর, অকি শেখ, আল আমিন ঠাকুর ও সাইফুল মৃধাকে আটক করা হয়েছে। ওইসব পরিবারের শান্তি বজায় রাখার জন্য যা যা করণীয় সকল ব্যবস্থা করা হবে।

খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here