খবর৭১ঃ তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান পরবর্তী নানা কারণে নিজেদের সম্পর্কের তলানীতে তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি দু’দেশ একে অন্যের পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করায় এই সম্পর্ক আরও অবনতি হয়।
এমন অবস্থায় অবারও হুমকি দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি জানিয়ে দিয়েছে-মার্কিন ধর্মযাজক অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসনকে মুক্তি না দিলে তুরস্কের ওপর নতুন করে আরও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আনা হবে।
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসন তুরস্কের স্টিল জাতীয় পণ্য রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে ডলারের বিপরীতে তুর্কি মুদ্রা লিরার দাম সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা অর্থনৈতিক অবরোধের জবাবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান গতকাল মঙ্গলবার জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো ইলেকট্রনিক পণ্য কিনবে না তার দেশ।
মার্কিন খ্রিষ্টান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসনকে তুরস্কের আদালতে গৃহবন্দী রাখার নির্দেশ দেয়ার পরই দেশটির ওপর অবরোধের হুমকি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
২০১৬ সালে তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অ্যান্ড্রিউ ব্রুনসনকে প্রায় দু’বছর ধরে আটকে রেখেছে তুরস্ক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অ্যান্ডু ব্রুনসনের ৩৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ব্রুনসনের মুক্তি দাবি করছে আর তুরস্ক বলছে সে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত ছিল। ব্রুনসনকে ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত তুর্কি ধর্মগুরু ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফেরত চায় তুরস্ক। ফেতুল্লাহ গুলেনকে ওই অভ্যুত্থানের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিহিত করে থাকে তুরস্ক।
খবর৭১/এসঃ