তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা নিষেধ

0
622

খবর ৭১ঃ কাপ্তাই হ্রদে প্রাকৃতিক প্রজননের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি ও অবমুক্ত পোনার যথাযথ সংরক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হ্রদে মাছ শিকার,বিপণন ও পরিবহন বন্ধে আগামী তিন মাসের জন্য বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) একেএম মামুনুর রশীদ বিষয়টি জানান।

ডিসি মামুনুর জানান, আগামী ১ মে দিনগত রাত ১২টার পর থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত হ্রদে মাছ শিকার, হ্রদের মাছ বিপণন, পরিবহন এবং স্থানীয় বরফকল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কেউ যদি এ আদেশ অমান্য করে কোনো উপায়ে হ্রদে মাছ শিকার, বিপণন এবং পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাছ আহরণ বন্ধকালীন সময়ে নিবন্ধিত জেলেদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হবে।

অবৈধ শিকারিদের হাত থেকে হ্রদের মাছ বাঁচাতে নৌ পুলিশ, বিজিবি এবং মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন কর্তৃপক্ষ টহল জোরদার রাখবে। এছাড়া হ্রদে অবৈধ মৎস্য শিকারিদের শাস্তি প্রদানে মোবাইল কোর্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈঠকে হ্রদের চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। অভয়াশ্রমগুলো হলো- জেলা প্রশাসকের বাংলো ঘাট, রাজবন বিহার ঘাট, লংগদু উপজেলা ইউএনও অফিস ঘাট এবং নানিয়ারচর ছয় কুড়িবিল। এই অভয়াশ্রমগুলোতে সারা বছর মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার (নৌবাহিনী) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছের পোনা ছাড়া হবে।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম, স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজের নেতারা এবং স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here