তাহিরপুর সীমান্ত সোর্সদের নিয়ন্ত্রণে:২টি গরুসহ গ্রেফতার ৩

0
235

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এখন সোর্স পরিচয়ধারী বিভিন্ন মামলার আসামীদের নিয়ন্ত্রণে। সোর্সরা সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে কয়লা ও পাথরের সাথে অবাধে মদ,গাঁজা, ইয়াবা,নাসিরউদ্দিন বিড়িসহ গরু ও ঘোড়া পাচাঁর করলেও তাদেরকে কখনোই গ্রেফতার করা হয়না। ভারত থেকে পাচাঁরের সময় ২টি গরু ও ৩জন চোরাচালানিকে গ্রেফতার করে আজ ৩০.০১.১৯ইং বুধবার সকাল ১০টায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এলাকাবাসী জানায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের বড়ছড়া,বুরুঙ্গাছড়া,রজনীলাইন,নয়াছড়া ও রাজাই এলাকা দিয়ে প্রতিদিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী মাদক মামলার আসামী ফিরোজ মিয়া,কামাল মিয়া,হান্নান মিয়া,আবু বক্কর,আলমগীর ও রফিকুলের নেতৃত্বে ভারত থেকে কয়লার বস্তার ভিতর করে মদ ও ইয়াবাসহ বারেকটিলা দিয়ে গরু পাচাঁর শুরু হয়। এখবর পেয়ে বিজিবি অভিযান চালিয়ে রজনীলাইন এলাকা থেকে চোরাচালানী সিরাজ মিয়া(৪৫) ও আশিকনুর(২৫)কে গ্রেফতার করাসহ বারেকটিলা থেকে ২টি গরু আটক করলেও সোর্সদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। অন্যদিকে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিব এর নেতৃত্বে জাদুকাটা নদী ও সাহিদাবাদ এলাকা দিয়ে পাথরের সাথে মদ,গাঁজা,ইয়াবা,নাসিরউদ্দিন বিড়ি,গরু ও ঘোড়া পাচাঁর করছে তারই একান্ত সোর্স জজ মিয়া,নবীকুল,আমিনুল,নুরু মিয়া,শহিদ মিয়া,সেলিম মিয়া,আনসারুল,জসিম মিয়াগং। আর পাচাঁরকৃত ১লড়ি পাথর থেকে ২০০টাকা,১টি গরু ও ঘোড়া থেকে ৫হাজার টাকা,১ বস্তা কয়লা থেকে ১৫০টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে সোর্স এরশাদ মিয়া ও দিলহাজ মিয়া। তাই এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকা থেকে ভারতে নারী পাচাঁরের অভিযোগে চোরাচালানী রবি মিয়া(২৮)কে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তার সহযোগী একাধিক কয়লা,মাদক,অস্ত্র ও চাঁদাবাজি মামলার আসামী সোর্স কালাম মিয়া,জানু মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া,বাবুল মিয়া,আব্দুর রাজ্জাক ও ল্যাংড়া বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়নি। এবং চাঁরাগাঁও সীমান্তে বিজিবির ওপর হামলার মামলার আসামী বিজিবির সোর্স আব্দুল আলী ভান্ডারী,রমজান মিয়া,হরমুজ আলী,জয়নাল মিয়া,খোকন মিয়া,ফালান মিয়া,মোবারক মিয়া,বাবুল মিয়া ও ফরিদ মিয়াসহ বীরেন্দ্রনগর সীমান্তে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়কের সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী হযরত আলী,মঞ্জুল মিয়া,আলী হোসেন ও মস্তোফা মিয়া মস্তো রয়েছে দাপটের সাথে। এছাড়াও গরু চুরির মামলার আসামী লাউড়গড় গ্রামের আক্তার মিয়া নিজেকে সিলেট সেক্টর কমান্ডার ও সিও’র সোর্স পরিচয় দিয়ে পুরো সীমান্ত এলাকায় গিয়ে করছে ওপেন চাঁদাবাজি। এব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলম বলেন,সীমান্ত এলাকায় বিজিবির কোন সোর্স নাই,যারা বিজিবি সোর্স পরিচয় দিয়ে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করছে তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য,এর আগে সোর্সদের পাচাঁরকৃত ৮০মে.টন চোরাই কয়লাসহ ৩চোরাচালানীকে গ্রেফতার করলেও সোর্সদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here