তালায় শীতকালিন সবজির ন্যায্য দাম পাচ্ছে না কৃষক

0
433

সেলিম হায়দার,তালা(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ
শীতকালিন সবজি উৎপাদন করে ন্যায্য দাম পাচ্ছে না সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কৃষকরা। গত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে প্রকার ভেদে কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কম দামে বাজারে বিক্রি করছে কৃষক। ব্যবসায়ী ও আড়তদার বলছেন, স্থানীয় সরবরাহ ছাড়াও জেলার বাইরে থেকে সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতির দিকে। ফলে উৎপাদন খরচ তুলতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে সবজি চাষিরা।
উপজেলার হাজরাকাটী গ্রামের  সবজি চাষি আফজাল হোসেন জানান, চলতি শীত মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছেন। এরমধ্যে দেড় বিঘাতে ফুলকপি এবং ১০ কাঠা জমিতে বাধাকপি। এ পর্যন্ত দু’দফা ফুলকপি উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করেছেন তিনি। কিন্তু বাজারে ফুলকপির যে দাম পাওয়া যাচ্ছে তাতে হতাশ হয়েছেন তিনি। চাষি আফজাল হোসেন বলেন, গত মৌসুমে এই সময় যে ফুলকপি পাইকারী বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ২২ থেকে ২৫ টাকা দরে তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে। একই অবস্থা বাধাকপির দামেও। প্রতি মন বাধাকপি ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের এই সময় বিক্রি হয়েছে ৪৪০ থেকে ৪৮০ টাকা পর্যন্ত।
একই উপজেলার কলিয়া গ্রামের কৃষক আবু জাফর জানান, বারো মাসই নানা ধরণের সবজি উৎপাদন করেন। চলতি শীত মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে ওলকপি, বাধাকপি এবং পালং শাক চাষ করেছেন। কিন্ত বাজারে সবজির ভালো দাম না থাকায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এই কৃষক। তিনি বলেন, গত মৌসুমে এই সময় যে ওলকপি পাইকারী বিক্রি করেছেন প্রতি কেজি ২০ থেকে ২২ টাকা তা এখন বিক্রি করতে হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকা কেজি দরে। ১২ টাকার বাধাকপি ৬ থেকে ৭ টাকা কেজিতে বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন খরচ বাচবে কি না তাতে সংশয় রয়েছে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলা কাচামাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রওশন আলী জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সবজির দাম কমে গেছে। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে সরবরাহের পাশাপাশি জেলার বাইরে থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ সবজি সাতক্ষীরায় আসছে। ফলে সব ধরনের শীতকালিন সবজির দাম কমতির দিকে।
এদিকে তালা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে তালা উপজেলাতে শীতকালিন সবজির আবাদ লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে। তবে সে হিসেবে চলতি মৌসুমে আবাদ কিছুটা বেশি হয়েছে। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে ফুলকপি, ওলকপি, বাধাকপি, পালং শাক, সিম, বরবটি ও টমেটো।
তালা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গেল মৌসুমের চেয়ে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় শীতকালিন সবজির আবাদ কিছুটা বেড়েছে। তাছাড়া এখানে বারো মাসই নানা ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here