তালায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

0
348

তালা প্রতিনিধি :
তালা উপজেলার ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেওয়ার প্রতিবাদে তালা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকালে উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের অলিউল ইসলামের ছেলে ১০নং খেশরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক সুমন হোসেন গোলদার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সুমন হোসেন গোলদার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০ জুলাই ১০নং খেশরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে মুড়াগাছা গ্রামের বাসারাত শেখের ছেলে মোস্তফা মনোয়ারকে সভাপতি করা হয়েছে। মোস্তফা মনোয়ার ২০১১ সালে খেশরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের একজন কর্মী ছিলো। সে স্বাধীনতার চেতনা রিরোধী এবং তার পরিবার জয় বাংলা ¯েøগানের বিরোধী। তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এই কমিটি দিয়েছে। এতে এলাকায় আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রলীগ কর্মীদের ভিতরে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ঠি হয়েছে।
সুমন আরও বলেন, গত ১ জুলাই ১নং ধানধিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে জামায়াত শিবির পরিবারের নাশকতা সৃষ্টিকারী ও মামলার পরিবারের সন্তান শিবির কর্মী নাহিদ হাসান প্রান্ত এর নিকট থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে সভাপতি এবং আবু রায়হানকে সাধারন সম্পাদক করে একটি ইউনিয়ন কমিটি দেওয়া হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ সম্পাদক রায়হান স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন এবং ফেইসবুকে একটি পোষ্ট করে।
একই কায়দায় ইসলামকাটী ইউনিয়ন থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জামাত বিএনপি পরিবারের সন্তান শেখ শামীম উদ্দীনকে সভাপতি দেওয়ায় কমিটির অধিকাংশই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ইতোপূর্বে মাগুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের নিকট টাকা দাবি করা হয়। তারা দিতে না পারায় কোন সম্মেলন ছাড়া রাতের আধারে মাগুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি পরিচালনায় অনিয়ম ও অর্থ বানিজ্যের বিষয় লিখিত ভাবে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এতেও যদি কোন প্রতিকার না হয় তাহলে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসুচী গ্রহন করবে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ যে সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করছে এটি ভবিষ্যতে ছাত্রলীগের আদর্শ ও নৈতিকতা ক্ষুন্য হবে এবং এটি সংবিধান বর্হিভুত। এহেনও অনিয়ম অর্থ বানিজ্য, ছাত্রলীগ বর্হিভুত কাউকে সভাপতি করা বা কমিটিতে অর্ন্তভ’ক্তি না করার জন্য জেলা, উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দের নিকট বিচার দাবি জানান।
ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী অস্বীকার করে জানান, ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা ছাত্রলীগ সংগঠনটি সুনামের সহিত পরিচালিতুুু হয়ে আসছে। একটি কুচক্রীমহল উপজেলা ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে এমন অপপ্রচার করছে। অচিরেই এদের বিরুদ্ধে উপজেলা ছাত্রলীগ একটি কঠোর অবস্থানে যাবে।

খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here