তালায় গাছের সাথে বেধে চোখ উপড়ে চেষ্টা ও দাড়ি উপড়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা

0
304

তালা প্রতিনিধি :
তালায় গাছের সাথে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় এক ব্যাক্তির চোখের ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা ও মুখের দাড়ি উপড়ে ফেলেছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনার স্বীকার হওয়া ব্যাক্তির নাম রহিম সরদার (৪৫)। সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আটারই গ্রামের মৃত সোনাই সরদারের ছেলে।
এঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে রহিম সরদার গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সূত্রে জানাযায়, পূর্ব শত্রæতার জের ধরে তালা উপজেলার আটারই গ্রামের হোসেন আলী সরদারের ছেলে মো. লাভলু সরদার (৩৬), বাবলু সরদার (৩৮) মো. সবুজ সরদার (২০) মো. সুমন সরদার (১৮)গংরা গত মঙ্গলবার দুপুরে একই গ্রামের মৃত সোনাই সরদারের ছেলে রহিম সরদারকে গাছের সাথে বেধে মুখের দাড়ি উপরে ফেলে ও চোখের ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেয় । এসময় রহিম সরদারের আতœচিৎকারে তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৩৮) ও ছেলে আহাদ সরদার (২৫) এগিয়ে এলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং তার স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে শরীরের বিভিন্ন কামড়িয়ে রক্তাক্ত জখম করে শালিনতা হানী ঘটায় লাভলু সরদার গংরা।
ঘটনার সময় তাদের আতœচিৎকারে এলাকাবাসি তাদেরকে উদ্ধার করে তালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহতরা সকলে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসাধীন আছেন।
এব্যাপারে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজীব সরদার বলেন, আহত রহিম সরদার ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসা চলছে ।
রহিম সরদার জানান,হোসেন আলী সরদারের ছেলে লাভলু সরদার নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ব বাংলার সক্রিয় সদস্য ছিল। তার অত্যাচারে এলাকাবাসি আতংকিত। ঘটনার সময় স্থানীয়রা মোবাইলে ভিডিও ধারন করলেও তার ভয়ে তারা মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।
এব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. ফরিদ হোসেন বলেন, ঘটনার ব্যাপারে আমার দপ্তরে একটি অভিযোগ এসেছে । ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর । আমি অফিসার ইনচার্জ তালা থানাকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here