তারেক রহমানের জন্য ছটফট করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী

0
300

খবর ৭১: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রতিহিংসার জ্বালায় মরিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে হাতে পাওয়ার জন্য ছটপট করছেন।’

রবিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমানকে হাতে পেলে শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিতেন তাঁর বিভৎস প্রতিশোধের ভয়াবহতা কত ভয়ঙ্কর। এ জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারা নির্যাতনের মধ্যে রেখে এখন তাঁর পুত্র তারেক রহমানকে হাতের মুঠোয় আনতে প্রধানমন্ত্রী ছুটছেন দিশেহারা দিগিবেদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে। তবে ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না। জনগণের শক্তির কাছে কোন দুঃশাসনই টেকে না। প্রতিবাদী চেহারা নিয়ে সংগ্রামী মানুষ রাস্তায় নামছে। বিদেশী প্রভুর ওপর নির্ভর করা সরকার জনগণের শক্তির কাছে পরাজিত হবেই।’

বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল লন্ডনে এক দলীয় সভায় বলেছেন “যেভাবেই হোক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব। তাকে ফেরত নেয়ার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। যেভাবেই হোক তাকে দেশে ফেরত নেবো এবং বিচারের মুখোমুখি করব।” প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য চরম ক্রোধ ও হিংসার বহিঃপ্রকাশ। তাঁর হৃদয়ে যেন প্রতিহিংসার আগুণ অনির্বাণ।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিহিংসার ঝাল মেটেনি। তিনি জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে মরিয়া। এ পরিবারটিকে ধ্বংস করতে পারলে তাঁর দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার অভিলাষ পূর্ণ হয়। কিন্তু কারো কী চিরকালীন রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার অভিলাষ পূরণ হয়? এই জিঘাংসা একটি প্রতিবন্ধী সরকারেরই লক্ষণ। কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষমতায় থাকার লিপ্সা পূরণ হবে না।’

গতকাল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে মানবধিকার চরমভাবে লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে গত এক বছরের গুম-খুন, বিচারবর্হিভূত হত্যা, গণমাধ্যমের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করা, খেয়াল খুশি মতো আটক করে নির্যাতন করা, বেআইনিভাবে আটক করে রাখা, বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। তাই বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সরকারের অনাচারের বিরুদ্ধে যে আওয়াজ উঠেছে সেটিকে আড়াল করতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে টার্গেট করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারত কখনও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে হস্তক্ষেপ করে না। আমি তাকে বলতে চাই-২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের কথা কী মানুষ ভুলে গেছে। কীভাবে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং এরশাদকে ধমক দিয়েছিল যা গণমাধ্যমের কাছে এরশাদ স্বীকার করেছিলেন, সেটাও কি মানুষ ভূলে গেছে? সুতরাং যতই ছুটাছুটি করেন না কেন ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন এদেশে আর হবে না। ধূর্তামি আর শঠতা দিয়ে একতরফা নির্বাচন করতে পারবেন না।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here