তারুণ্যের অহংকার খোকনের নেতৃত্বে উজ্জীবিত বিএনপি

0
433

এস. এম. রাসেল, মাদারীপুর ॥
মাদারীপুর-৩ সংসদীয় আসনটি মাদারীপুর সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন, কালকিনি পৌরসভাসহ উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে ভোটার ২ লাখ ৮৩ হাজার ২২৩ জন। স্বাধীনতার পর থেকেই আসনটি মূলত আওয়ামলীগ অধ্যুষিত। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোট রয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই যোগ্য প্রার্থীর অভাব ও নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে বিএনপির প্রার্থী আওয়ামীলীগ প্রার্থীর সঙ্গে আতাতের কারণে বিএনপির ভোট বাড়েনি। বরং প্রতিবারই ভোট কমেছে। তবে বিএনপির ভোটের পালে নতুন হাওয়ার স ার দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

সাংগঠনকিভাবে অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় অনেকটা শক্তিশালী এ আসনটি। মূলত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনের একক প্রচেষ্টায় বিএনপি বর্তমানে তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। উপজেলা বিএনপি ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতারাও ইতিমধ্যে আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করছেন। দলটির নেতাকর্মীরা জানান, সংসদীয় আসনের প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে।

এছাড়া বিএনপির অন্য সহযোগী সংগঠনগুলোরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। সংসদীয় আসনের কালকিনি উপজেলার দুর্গম চরা লে এক সময় বিএনপি সাংগঠনিকভাবে অপরিচিত ছিলো। অনেক ক্ষেত্রে দুই সদস্য বিশিষ্ট ইউনিয়ন কমিটি থাকলেও কার্যক্রম বলতে কিছুই ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে এসব ইউনিয়নে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। কমিটি রয়েছে ওয়ার্ড পর্যায়েও। এছাড়া বিভিন্ন উপলক্ষ্যে আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন প্রতিটি ওয়ার্ডে গণসংযোগ করে আসছেন গত আট বছর ধরেই।

জানা যায়, ছাত্রদলের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায়েই এসব এলাকায় নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন খোকন। পরবর্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই প্রতি মাসেই সংসদীয় আসনের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত পথসভা ও সমাবেশ করেন তিনি। বিএনপি ঘোষিত বিভিন্ন দিবস, রাষ্ট্রীয় দিবস ও নানা কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। সিডিখাঁন ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা নির্বাচন ছাড়া অন্য সময় বিএনপির প্রার্থীকে কখনোই দেখতাম না। কিন্তু আনিসুর রহমান খোকন প্রায় প্রতি মাসেই আমাদের খোঁজখবর নেন। এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেন। আশা করি বিএনপির হাইকমান্ড কোনও নিষ্ক্রিয়, আতাতকারী নেতাকে মনোনয়ন দিবেন না। একই কথা বললেন নবগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির নেতা সুরেষ মন্ডল।

তিনি বলেন, আমরা মামলা-হামলায় থাকলেও অতীতে বিএনপির কোনও নেতা পাশে দাড়ায়নি। কিন্তু বর্তমানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাড়াচ্ছেন আনিসুর রহমান খোকন। সকল সামাজিক অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহন করেন। আমরা চাই এমন যোগ্য নেতাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবো। উপজেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা জানান, অতীতে প্রার্থীরা টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যেতেন। ধনাঢ্য আওয়ামীলীগের প্রার্থী বিএনপির প্রার্থীকে কিনে নিতেন। ফলে দিন দিন এ অ লে দুর্বল হয়েছে বিএনপি। সাংগঠনকিভাবে ভেঙ্গে পরেছিলো। কিন্তু কালের বিবর্তনে বিএনপি সাংগঠনকিভাবে এখন অনেক শক্তিশালী। অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রতিকূল পরিবেশে নিজেদের বিসতার ঘটিয়েছে তৃণমূল পর্যন্ত। আর এর পিছনের কারিগর আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন। তাই মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপি তথা ধানের শীষের মণোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তারুণ্যের অহংকার কালকিনি উপজেলার মাটি ও গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব আনিসুর রহমান তালুকদার খোকনের কোনো বিকল্প নেই।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here