তাপদাহে পুড়ছে দেশ

0
407

খবর ৭১ঃ প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। গরমে নাজেহাল প্রাণীকূল। এই গরম কমার কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। এদিকে তাপমাত্রা বেড়ে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে।

গত মঙ্গলবার ধরেই এমন তাপপ্রবাহ চলছে দেশজুড়ে; এতে অস্থির হয়ে পড়ছে জনজীবন, বিশেষ করে শহুরে মানুষরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক জানিয়েছেন। এদিন রাজধানী ঢাকায়ও তাপমাত্র তার কাছাকাছি ৩৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ সব বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে।

থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন।

উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ।

তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।

গত দুই যুগে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তা রেকর্ড করা হয় যশোরে। তার আগে ১৯৯৫ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

ঢাকায় ১৯৯৫ সালে তাপমাত্রা ওঠেছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডটি হয়েছিল পাকিস্তান আমলে ১৯৬০ সালে, সেবার পারদ উঠেছিল ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

স্বাধীনতার পর দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডটি হয় রাজশাহীতে ১৯৭২ সালের ৩০ মে; সেদিন তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আবহাওয়াবিদ নাজমুল বলেন, ‘আজ শুক্রবারও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।’

বৈশাখের এই গরম থেকে মুক্তির একটি সঙ্কেত দেখা যাচ্ছে, সেটা হল বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ।

আবহাওয়াবিদ নাজমুল বলেন, ‘দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ বিরাজ করছে। তা কয়েকদিন পর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে।’

এই নিম্নচাপ সাগর থেকে উপকূলের দিকে এগোলে আসবে ঝড়-বৃষ্টি; তাতে তাপমাত্রা কমলেও মাত্রাভেদে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও থেকে যায়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here