রাব্বুল ইসলাম, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি কেনা নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত ও কমপক্ষে ১০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় খবির মে¤\^র, কবিরুল, মোস্তাক, বসির, মহি, তুজাম, আজিজ মন্ডলসহ প্রায় ১০ জনের বাড়ী ঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার রাতে শৈলকুপার দুধসর ইউনিয়নের ভাটই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি কিনে বাড়ি ফেরার পথে জুগিয়া গ্রাম থেকে বিএনপির ৭ কর্মীকে আটক করা হয়। এরপর তারা শনিবার জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফেরে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুধসর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সম্পাদক বর্তমান ইউপি সদস্য খবির উদ্দিন ও দুধসর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তোজামের সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে ভাটই পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন।
তবে স্থানীয় বিএনপি নেতা তোজাম জানান, জমি বন্দুক নিয়ে বিএনপি কর্মী বাটুল ও আওয়ামীলীগ কর্মী জামিরুল-কামিরুলদের বিরোধ দেখা দেয়। তারা জোর করে বাটুলের বন্ধকি জমিতে ফসল লাগিয়েছে। এ নিয়ে শালিস-বৈঠকের জেরে ভাটই গ্রামে তাদের সমর্থিত সমস্ত নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আহত হয়েছে ভাটই গ্রামের মোজামের ছেলে নাজির, সরোয়ারের ছেলে রনি সহ ৫/৬জন । দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে তিনি দাবি করেন। হামলায় অনেক কর্মী বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে বলেও জানান।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতারা বলছেন, ঢাল-সড়কি কিনে এলাকায় সহিংসতার চেষ্টা করছিল বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। ফলে তাদের ধাওয়া করা হয়েছে তবে বাড়ি-ঘর ভাংচুর বা হামলা হয়নি।
খবর৭১/এসঃ
