ঢাবিতে ছাত্রদল অভিযোগে দুজনকে আটকে মুক্তিপণ দাবি ছাত্রলীগের

0
360

খবর৭১ঃঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল অভিযোগে দুই পথচারীকে আটকে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা থেকে তাদের তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই দুই পথচারী এবং অভিযুক্ত ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

ঘটনার শিকার ওই দুই পথচারী হলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি বিভাগের ইন্টার্ন টেকনিশিয়ান সাইফুদ্দিন সিফাত ও ‘স্বপ্ন’ সুপার শপের বিপণন কর্মী রিয়াজুল ইসলাম।

আর অভিযুক্ত ছাত্রলীগের ৭-৮ জন নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন- ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আখতারুজ্জামান (৩য় বর্ষ, পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ) ও একই হলের ছাত্রলীগ কর্মী রাজিউর রহমান (৩য় বর্ষ, সঙ্গীত বিভাগ)।

তাদেরকে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে টিএসসি থেকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়।

ঘটনার ভূক্তভোগীরা জানান, তারা শহীদ মিনার এলাকায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন। এমন সময়ে ৭-৮ জন এসে ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে তাদেরকে ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে নিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ফোন। সেখান থেকে জহুরুল হক হলে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।

পরবর্তীতে তাদের গ্রামের বাড়িতে (পটুয়াখালীর দশমিনা) ফোন দিয়ে বাবার কাছে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শীর্ষ নেতার হস্তক্ষেপে তাদেরকে টিএসসিতে আনা হয়।

ভূক্তভোগী সাইফুদ্দিন সিফাতের বাবা মো. নেসার উদ্দিন বলেন, ‘সিফাতের নম্বর থেকে একজন ফোন করে বলে আপনার ছেলে ছাত্রদল করে। ১ লাখ টাকা পাঠান। তানাহলে তাদেরকে মারধর করে থানায় দেওয়া হবে। তাদের নামে মামলা হবে।’

তিনি আরও জানান, এসময় ফোনের অপর প্রান্ত থেকে কথা বলার ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে সে বলে, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’।

ঘটনার বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে কোনো অপরাধ করার সুযোগ নেই। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন বলেন, ঘটনাটি শোনার পর থেকেই আমরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। পরবর্তীতে উভয়পক্ষকে ডেকে শাহবাগ থানায় দেওয়া হয়েছে। থানা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, প্রক্টরিয়াল বডির মাধ্যমে অভিযুক্ত ও ভূক্তভোগী দুপক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুরো ঘটনা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here