ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হুমায়ুন কবির শক্ত অবস্থানে

0
364

স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী জাতীয় সংসদ (একাদশ) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকাতে বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। তাই ঢাকা-৭ (লালবাগ-চকবাজার) আসনেও বিভিন্ন প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। এদের মধ্যে অন্যতম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. হুমায়ুন কবির। এই আসন থেকে দলের মনোনয়ন চাইবেন তিনি। ইতোমধ্যে এই নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় শুরু করেছেন তিনি। আর মানুষের কাছে নিজের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরছেন। ইতোমধ্যে তিনি লালবাগ-চকবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার ও ব্যানার সাটিয়ে নির্বাচনী মাঠে নিজের অবস্থানের কথা জানান দিচ্ছেন।

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ঢাকা-৭ (লালবাগ-চকবাজার) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে শক্ত অবস্থানে আছেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মো. হুমায়ুন কবির। তিনি দীর্ঘ ২৪ বছর বৃহত্তর লালবাগ থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আদি ঢাকাইয়া হুমায়ুন কবির টানা ২৩ বছর ধরে জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। লালবাগের জনপ্রিয় এই কাউন্সিলর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও বিপুল ভোটে কমিশনার নির্বাচিত হন।

এদিকে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে আদি ঢাকাইয়াদের মধ্যে থেকে একজন জনপ্রতিনিধি চান। এরমধ্যে হুমায়ুন কবির এলাকায় জনপ্রিয় ও অনেকের থেকে ভাল অবস্থানে রয়েছেন। তিনি সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি সবসময় দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে তাঁর একটা শক্তিশালী অবস্থান তৈরী হয়েছে। আর দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করা হুমায়ুন কবির বর্তমানে নির্বাচনের জন্য নিজেকে তৈরী করছেন। তাদের মতে, তিনি শুধু ঢাকাইয়া নন, শিক্ষিত ও সৎ মানুষ হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে তাঁর ব্যাপক সুনাম এবং গ্রহণ যোগ্যতা রয়েছে।

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রীধারী হুমায়ুন কবিরের পুরো পরিবারই উচ্চশিক্ষিত। বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামালের হাত ধরেই ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন হুমায়ুন কবির। মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের এই পোড় খাওয়া নেতা বলেন, ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ দিয়ে আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৬৮ সালে ঢাকা কলেজে পড়াকালীন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলাম। সেই থেকে শুরু করে আজও আছি এই দলের সাথে, আর আজীবন থাকবো।

এক প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণ ও এলাকার উন্নয়নের জন্য এবং মানুষের সম্মান ও ভালোবাসা পাওয়ার জন্য। অত্র এলাকার মাটি ও মানুষের সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেও এলাকার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে বারবার কমিশনার নির্বাচিত করেছেন। এখন বৃহত্তর পরিসরে জনগণের সেবা করার জন্য এমপি নির্বাচন করতে চাই। তিনি আরও বলেন, সুখে-দুঃখে সব সময় দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকবো, ইনশাআল্লাহ। আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার গভীর আস্থা ও বিশ্বাস আছে। আগামী নির্বাচনে তিনি সৎ, শিক্ষিত ও ত্যাগী নেতা হিসেবে আমাকে মূল্যায়ন করবেন।

অন্যদিকে, এই আসনের দলীয় নেতাকর্মীরা বলেন, হুমায়ুন কবির এলাকায় নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি সহ পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন। এছাড়া তার নেতৃত্বেই দলীয় বিভিন্ন কর্মকান্ড চলছে। আর তিনিই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। বিভিন্ন দূর্ঘটনায় কবলিতদের নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন। তাই তিনিই এবার এমপি হওয়ার দাবিদার। এছাড়া বিগতদিনে দলের জন্য তার অনেক ত্যাগ রয়েছে। তাঁর ত্যাগ ও ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজের কারণে তিনি এবার এমপি নির্বাচিত হবেন।

উল্লেখ্য, ঢাকা-৭ (লালবাগ-চকবাজার) আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, বর্তমান এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক এমপি ডাঃ মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ডিএসসিসি’র ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের প্রাক্তন সভাপতি মরহুম এমএ আজিজের ছেলে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং ডিএসসিসি’র ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর বিন আজিজ (তামিম), বর্তমান এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে সোলায়মান সেলিম।
আর বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, সাবেক এমপি প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টু’র স্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাসিমা আক্তার কল্পনা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী, প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ-সভাপতি সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন খোকন, আবু মোতালেব, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মোনায়েম লিলি।
এছাড়ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন এবং সিপিবি’র প্রার্থী দলের ঢাকা কমিটির সম্পাদক সুকান্ত সফী চৌধুরী কমল।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here