ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন কোন দলের মুখপাত্র:রিজভী

0
541

খবর ৭১: প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়কে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন বাংলাদেশের কোন দলের মুখপাত্র? রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, গতকাল একটি দৈনিক পত্রিকায় নয়াদিল্লীর একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনী পরামর্শক লর্ড কার্লাইলকে ভারতে ঢোকার অনুমতি না দিতে নয়াদিল্লীতে জোরালো সুপারিশ পাঠিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নিকট আমাদের জিজ্ঞাসা, ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন এখন বাংলাদেশের কোন দলের মুখপাত্র?

‘লর্ড কার্লাইল চলতি সপ্তাহেই নয়াদিল্লী সফরে ১৩ জুলাই ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাবে বেগম খালেদার বিরুদ্ধে মামলা ও কারাদণ্ডের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্য দেয়ার কথা’

রিজভী বলেন, ঢাকাস্থ হাই কমিশনের জোরালো সুপারিশের কারণে লর্ড কার্লাইলের ভিসা দেয়া না হয় তাহলে এটা প্রমানিত হবে যে, বেগম জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাদণ্ড দিতে হাই কমিশনের নেপথ্য ভূমিকা রয়েছে। ভারতীয় হাই কমিশনের এই ভূমিকা দুঃখজনক এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আগ্রাসী হস্তক্ষেপ।

বিএনপি ভারতের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করে, বিএনপি হচ্ছে চীন ও পাকিস্তানপন্থী- প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের এই বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এইচ টি ইমামের উদ্ভট বেহায়াপনায় বাংলাদেশীরা হতবাক ও স্তম্ভিত। জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় রাখতে সেখানে বিভিন্ন নীতি নির্ধারকদের কাছে নতজানু হয়ে লেজ নাড়িয়ে ভারতীয় কৃপা আদায়ের জন্য এইচ টি ইমামের মতো আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতারা এমন ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছেন। যা বাংলাদেশে বিরল। এটি যেন মোড়লের কাছে নিজের বিশ্বস্ততা প্রমাণ করা!

প্রধানমন্ত্রী ভারতকে সবকিছু দিয়েছেন- প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন প্রতিদান চাননি। কিন্তু এখন প্রতিদান পেতে প্রধানমন্ত্রী একের পর এক প্রতিনিধি পাঠাচ্ছেন সেখানে। এরা বিবেক, আত্মমর্যাদা, জাতীয়তাবাদী অহংকার সবকিছু বিসর্জন দিয়ে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে অপমানিত করে দিল্লীর দরবারে করুণা ভিক্ষা করছেন।

শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তাক্ত লাশ ডিঙিয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভায় শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছিলেন এই এইচ টি ইমাম মন্তব্য করে রিজভী বলেন, যখন যে হাওয়া বয়ে যায় সেই হাওয়ার সাথেই গা ভাসিয়ে দেন এই এইচ টি ইমাম সাহেবরা। ১৫ আগষ্টের মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ডের যদি বিন্দুমাত্র বিচলিত ও মর্মাহত হতেন এইচ টি ইমাম তাহলে লাশ ডিঙ্গানো ঐ মন্ত্রীসভার শপথ পাঠের অনুষ্ঠান পরিচালনা করতেন না। জাস্টিস বি এ সিদ্দিকী আমৃত্যু মুসলিম লীগ করেছেন, তারপরেও লক্ষ লক্ষ মানুষের হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী টিক্কা খানের শপথ পড়াননি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here