খবর ৭১ঃ পারভেজ সাজ্জাদের ছিল ছুটির দিন, ডে অফ। কিন্তু অফিসে এসেছেন বিদেশি ক্লায়েন্ট। ঘরে থাকতেও মন চাচ্ছিল না। তাই ডে অফেই অফিসে গিয়েছিলেন। আর মরদেহ হয়ে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন মিরপুরের বাসিন্দা পারভেজ সাজ্জাদ। ছেলে সিয়াম, মেয়ে পিংকি আর স্ত্রীকে নিয়ে ছিল ছোট্ট একটি সুখের সংসার তার। মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ছেলেটি এবারই এসএসসি পরীক্ষা দিলো।
সম্প্রতি সৌদি আরব থেকেও ওমরাহ করে এসেছিলেন সাজ্জাদ দম্পতি।
সিয়ামদের প্রতিবেশী এবং এক সহপাঠীর মা মাকসুদা পারভিন বলেন, ভাবি কান্না করছিলেন আর বলছিলেন, গতকাল ভাইয়ের অফিস ছিল না। কিন্তু শ্রীলঙ্কান এক ক্লায়েন্ট (অগ্নিকাণ্ডে নিহত নিরস) এসেছিলেন। তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বাসায় না-কি ভালো লাগছিল না।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রকাশিত একটি ভিডিওর ইঙ্গিত করে মাকসুদা পারভিন বলেন, তার বেয়ে যে লোকটি নামতে গিয়ে পড়ে যান, তিনিই সাজ্জাদ ভাই। কিছুদিন আগেও ছেলেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের কাছে ছেলের জন্য দোয়া চাইতেন। আর আজ তিনিই নেই।
বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত পারভেজ সাজ্জাদের মরদেহ নিয়ে তার স্বজনরা ফরিদপুরের গ্রামের বাড়িতে রওনা দিয়েছেন বলে জানা যায়।