ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ৫৮ হাজার বাসায় অভিযানঃ সাঈদ খোকন

0
359
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ৫৮ হাজার বাসায় অভিযান

খবর৭১ঃ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫৮ হাজার ৭৪৭টি বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিশ্ব মশক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পূর্ব ঘোষিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি করতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আপনারা জানেন ডিএসসিসি গত জুলাই মাস থেকে প্রতিটি বাসায় গিয়ে এডিস মশার উৎপত্তি  ধ্বংস করার জন্য ওষুধ ছিটাচ্ছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচির আওতায় ৫৮ হাজার ৭৪৭টি বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কমবেশি ১২শ বাসায় এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এর মধ্যে আমাদের স্কাউটের একটি টিম রয়েছে, ডিএসসিসি এলাকায় তাদের সূত্রমতে কমবেশি এক লাখ বাসায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে। বর্তমানে আমাদের প্রতিটি নাগরিক সচেতন তাদের বাসা, অফিস ও কর্মস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে তারা মনোযোগী।

ডিএসসিসি মেয়র বলেন, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নগরবাসীর সচেতনতা এই দুইয়ের সমন্বয়ে ডিএসসিসি এলাকায় আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ করছি। আপনারা যদি আমাকে অবস্থা মূল্যায়ন করতে বলেন, তাহলে বলবো বিগত কয়েক মাসের তুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে। এছাড়া আশা করছি এডিস মসা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ কাজ করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, হাসপাতালের চারদিকের অবৈধ দোকান আমরা প্রায় কয়েক দিন পরপরই উচ্ছেদ করি। উচ্ছেদের এক ঘণ্টা পর ফের তারা ওই স্থানে বসে পড়ে। তিনি বলেন, আমাদের কিছু পুলিশ দিলে এর একটা সমাধান হতে পারে।

এর আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আমাদের হাসপাতালে কিছুটা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছে ১২৯ জন রোগী, সর্বমোট ভর্তি আছে ৫৩৫ জন। এছাড়া প্রতিদিনই রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here