ডিম বালক’কে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে রাজপথে তরুণীরা

0
237

খবর৭১ঃ ১৭ বছরের দুঃসাহসী তরুণ উইল কনোলি। মুসলিমবিদ্বেষী অস্ট্রেলীয় সিনেটরের মাথায় ডিম ভেঙে রাতারাতি বিশ্বখ্যাত হয়ে যায় উইল কনোলি। সারা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছেন ‘ডিম বালক’ নামে।

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টেও নিজেকে ‘এগবয়’ বা ডিম বালক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন।

ডিম বালককে নিয়ে যখন সারা বিশ্বে হইচই ঠিক ওই সময়ের নতুন খবর হলো- ডিম বালককে বিয়ে করতে রাজপথে নেমেছে তরুণীরা।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মিররের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার তার মুক্তির দাবিতে মেলবোর্নের সিবিডি স্টেট লাইব্রেরিতে প্ল্যাকার্ড হাতে সমাবেশ করেন প্রতিবাদকারীরা। সেখানে সিনেটর ফ্রেজারকে নিন্দা জানিয়ে কনোলিকে ঘিরে প্রশংসা করেন তারা। কনোলিকে জনসম্মুখেই বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন অস্ট্রেলীয় তরুণীরা।

‘আমি ডিম বালককে বিয়ে করতে চাই’-প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। এ সময় অস্ট্রেলীয় সিনেটর ফ্র্যাজার অ্যানিংয়কে পদচ্যুত করার স্লোগান দিতে থাকেন হাজারো আন্দোলনকারী।

এক তরুণী প্ল্যাকার্ডে লিখেছেন, ‘ডিম বালক জাতিগত ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করার সময় ডিম পুরুষে পরিণত হন।’

এদিকে মঙ্গলবার আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সেই দুঃসাহসী তরুণ। কোনো ধরনের মামলা দায়ের ছাড়াই তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সিনেটরের মাথায় ডিম ভেঙে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন তিনি। এবার তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছেন তরুণীরা।

অস্ট্রেলিয়ান সিনেটরের সেই বিতর্কিত মন্তব্য

বর্ণবাদ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রচারণা (সিএআরএফ) সমাবেশের সংগঠকের কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সেনেটর ফ্রেজার, যিনি মাত্র ১৯টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং বলেছিলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের রাস্তায় ওই ঘটনার প্রকৃত কারণ হচ্ছে অভিবাসন কর্মসূচি, যা উগ্র মুসলিমদের নিউজিল্যান্ডে থাকার অনুমোদন দিচ্ছে।’

এর পরই সিনেটরের মাথায় ডিম ভাঙে ১৭ বছর বয়সী কনোলি। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি অনুষ্ঠানে সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন।

এ সময় পেছন দিক থেকে এসে এক কিশোর তার মাথায় ডিম ভেঙে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই কিশোর নিজের ফোনে সেটি ভিডিও করে। তবে মাথায় ডিম ভেঙে দেয়ার পরপরই ওই কিশোরকে মারতে শুরু করেন সিনেটর। পরে অন্য কয়েকজন এসে ওই কিশোরকে মারতে থাকে।

ঘটনাস্থল থেকেই পুলিশ তাকে আটক করে। কনোলির পক্ষে আইনি লড়াই ও ডিম কেনার তহবিলে জমা পড়েছে বাংলাদেশি টাকায় ৪৯ লাখেরও বেশি টাকা। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ দান করেছে এই তহবিলে। তবে কলোনি ঘোষণা দিয়েছেন এসব অর্থ ক্রাইস্টচার্চে হামলায় নিহত মুসলিম পরিবারদের দান করা হবে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here