ডিভিশন চেয়ে সাঈদীর করা আবেদন হাইকোর্টে খারিজ

0
611

খবর৭১: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আমৃত্য কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে জেলখানায় ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকার্টে।

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপাতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২৪ জুন সাঈদীর বড় ছেলে শামীম সাঈদীর পক্ষে ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন। এরপরই সাঈদীকে ডিভিশন দেওয়ার ব্যাপারে গতকাল বুধবার রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আজ বৃহস্পতিবার আদেশের দিন ধার্য করেন।

ডিভিশনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তার বয়স বর্তমানে ৭৯ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত। তার হার্টের করোনারিতে পাঁচটি রিং পড়ানো রয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পর কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় তার হার্টে তিনটি রিং পড়ানো হয়। তিনি আর্থাইটিস রোগে ভুগছেন। তার হাঁটু ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা। বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া তিনি উঠতে-বসতে ও চলাফেরা করতে কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছেন। ইদানীং তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথাও অনুভব করছেন।

এ ব্যাপারে সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘জেল কোডের ১৯২ পৃষ্ঠার ১৫ নং অধ্যায়ের ক্লাসিফিকেশন শিরোনামের অধীন ৬১৭ নং বিধি অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আমার বাবা ডিভিশন পাওয়ার অধিকারী। এসব বিষয় উল্লেখ করে আমরা জেল কর্তৃপক্ষ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এখন প্রায় চার বছর হতে চলেছে। কিন্তু তাকে ডিভিশন দেওয়া হয়নি। ২০১৫ সালে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। কারা কর্তৃপক্ষের মতামতসহ আমরা সর্বশেষ গত ৮ মার্চ আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাকে ডিভিশন না দেওয়ায় আমরা গত রবিবার আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করি।’

উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। পরে আপিলের রায় রিভিউ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও সাঈদী পৃথক আবেদন করেন। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৫ মে রিভিউর রায়ে সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here