শেখ দীন মাহমুদ,পাইকগাছা(খুলনা):
ডাক্তারের চরম অবহেলা কর্তব্যহীণতায় এক প্রকার বিনা চিকিৎসায় ৩ দিন হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রাখার পর মূমুর্ষ অবস্থায় এলাকাবাসী ইতি মিস্ত্রিী(১৪) নামের কিশোরীকে কপিলমুনি হাসপাতালের বারান্দা থেকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এলাকাবাসী জানায়,খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরখালী গ্রামের প্রসাদ মিস্ত্রীর মেয়ে ইতি গত ৫ মার্চ রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে তার পাগলী মায়ের সাথে গোলযোগ করে বিষপান করে রাস্তার উপর পড়ে ছিল। সেখান থেকে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে ঐরাতেই কপিলমুনি হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় একা ফেলে রাখে। ৭মার্চ বিকেলে বিষয়টি স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হলে তারা সেখান থেকে তাকে সন্ধ্যার দিকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এব্যপারে কপিলমুনি হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার এনামুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কপিলমুনি হাসপাতালের মূল ডাক্তার ছুটিতে থাকায় পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। মূলত তিনি একজন ব্রাদার(নার্স)। এছাড়া তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হলেও কাজ না হওয়ায় বারান্দায় রাখা হয়েছিল।
এব্যাপারে পাইকগাছা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুজন কুমার সরকার এ প্রতিনিধেকে বলেন,পাইকগাছা হাসপাতালেও ডাক্তার সংকট থাকায় কপিলমুনি হাসপাতালে উক্ত ব্রাদার এনামুল হোসেনকে দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়। এসময় উক্ত রোগীকে কেন অন্যত্র রেফার না করে সেখানে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাব কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন,রোগীকে যথোপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়ার পরও ভাল না হলে তাদের কিছু করার নেই। এসময় কপিলমুনি একটি ১০ শয্যা বিশিষ্ঠ সরকারি হাসপাতাল সেখানকার একমাত্র ডাক্তার ছুটিতে থাকায় কেন একজন নার্সকে দায়িত্বে পাঠানো হল এমন প্রশ্নের কোন জবাব তিনি দিতে পারেননি।
এব্যাপারে এলাকার জনৈক মহসীন বলেন,তিনি ঘটনার দিন মাগুরখালী রাস্তার উপর থেকে ঐকিশোরীকে তুলে এনে কপিলমুনি হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু বুঝতে পারেননি যে,কপিলমুনি হাসপাতালে কোন ডাক্তার নেই। এমনকি বিষ খাওয়া রোগীর প্রাথমিক ট্রিটমেন্ট ওয়াস কার্যক্রমও তারা যথাযথভাবে করতে পারেননি। তালাহাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানান, রোগীর গোটা শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়েছে এমন অবস্থায় তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম।
এদিকে মাগরখালী এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রসাদ কুমার জানান,আক্রান্ত কিশোরী ইতির মা একজন মস্তিষ্ক বিকৃত মহিলা। দারিদ্রতার কারণে বিভিন্নস্থানে ভিক্ষাবৃত্তি করে তার মা তাদের দু’বোনকে মানুষ করছিলেন। ঘটনার দিন ইতি তার মায়ের সাথে বকাবকি করে বিষপান করে বলে তিনি শুনেছেন।
খবর ৭১/ ই: