খবর৭১ঃ ডাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা কোনও দলের নয়, সব শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেইসঙ্গে ডাকসু ও হল সংসদে নবনির্বাচিতদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘তারুণ্যের মেধাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই। এই ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা ভবিষ্যত নেতৃত্ব তুলে আনতে চাই।’
শনিবার (১৬ মার্চ) গণভবনে ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে সুস্থ রাজনীতির ধারা ফিরে আসবে। তারুণ্যের মেধাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।’
ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যত নেতৃত্ব ছাত্রজীবন থেকেই গড়ে তুলতে হবে। আর সেজন্য এখন থেকেই তোমরা নিজেদের প্রস্তুত করবে। ভবিষ্যতে তোমাদের হাত ধরেই এ দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কে ভোট দিল কে দিল না; এটা নয়। যে নির্বাচিত হয়েছে সে সব শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করবে। কে হলো কে হলো না সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। ভোটটা সুষ্ঠু হোক।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ভিপি পদে শোভন জয় লাভ করে নাই। আমার কাছে আসছে। আমি বলেছি- যে জিতেছে তাকে অভিনন্দন জানাতে। ধন্যবাদ জানাই শোভনকে। আমি তাদের পরিবারের সবাইকে চিনি। এটাই হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতিতে হারজিত তো থাকবেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯১ সালে ডাকসু নির্বাচনের পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অন্য দল ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর কী পরিমাণ অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এমনকি তারা নিজেরা নিজেরা গোলাগুলি করেছে। নিজেরাই নিজেদের হত্যা করেছে। এর পর থেকেই গত ২৮ বছর ডাকসুর ভোট বন্ধ ছিল।’
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র রাজনীতি ও ডাকসুর ইতিহাসের ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও বিজয়ী অন্যান্য নেতৃবৃন্দের পরিচয় পর্ব সম্পন্ন হয়।
খবর৭১/এসঃ