টেস্ট খেলার সার্টিফিকেট পেলেন মাশরাফি

0
582

খবর৭১: চোটে পড়ে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে চালিয়ে গেলেও বড় দৈঘ্যের ক্রিকেটেও তিনি অনিয়মিত।

সাত-সাতটি অস্ত্রোপচারের ধকল সামলে মাশরাফি যে এখনও খেলছেন এটাই অনেক বড় ব্যাপার। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত শল্য চিকিৎসক ডেভিড ইয়াংয়ের বিশ্বাস, শুধু ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি নয়, মাশরাফির পক্ষে টেস্ট খেলাও সম্ভব।

মাশরাফির সাতটি অস্ত্রোপচারের ছয়টিই করেছেন ডা. ইয়াং। একটি কর্মশালায় অংশ নিতে ঢাকায় আসা এই চিকিৎসক মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর ক্রিকেট একাডেমিতে ওয়ানডে অধিনায়কের ফিটনেসের প্রশংসা করলেন।

২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের সময় ইনজুরিতে পড়ে দীর্ঘ দিনের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান মাশরাফি। এরপর আর তাকে বাংলাদেশের টেস্ট দলে দেখা যায়নি। মাশরাফির ফিটনেস এখন দারুণ অবস্থায় আছে। তার টেস্ট খেলতে না পারার কোনও কারণ দেখেন না ডা. ইয়াং।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ মাশরাফির ফিটনেস দারুণ। তার টেস্ট না খেলার আমি কোনও কারণ দেখি না। প্রত্যেক দলের একজন নেতা প্রয়োজন। ও সব সময়ই একজন নেতা। আর টেস্ট দলে সব সময়ই ওর জন্য একটা জায়গা থাকবে। ওর (টেস্ট) খেলার সামর্থ্য সম্পর্কে আমার উত্তর হ্যাঁ, ও পারবে।’

মাশরাফি তার খেলে যাওয়ার জন্য কৃতিত্ব দেন ডা. ইয়াংকে। তবে বিনয়ী এই চিকিৎসক মাশরাফির ছুটে চলায় নিজের অবদান খুব একটা দেখেন না।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘ মাশরাফি একজন পেশাদার অ্যাথলেট যে এই খেলা আর তার দেশের প্রতি সম্পূর্ণ নিবেদিত। তার ক্যারিয়ারে আমার অবদান খুবই কম। ও যেভাবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে, নিজের ক্যারিয়ারকে প্রলম্বিত করেছে তাতে আমি মুগ্ধ। এমনটা জীবনে একবারই ঘটে।’

বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের দেশ আর দলের প্রতি আত্মনিবেদন নিয়ে উচ্ছ্বসিত অস্ট্রেলিয়ার এই শল্য চিকিৎসক।

এ বিষয়ে তিনি বলেন.‘ মাশরাফির ব্যাপারে আমি যা সবচেয়ে পছন্দ করি, ও খুব ভালো একজন মানুষ। ও দানশীল, কাছের মানুষ আর সতীর্থদের জন্য খুব দায়িত্বশীল। মাশরাফির জন্য বাংলাদেশের গর্বিত হওয়া উচিত। দেশ ও খেলাধূলার জন্য ও দারুণ একজন দূত।’
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here