ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আইসলেশন ওয়াড থাকলেও ভরসা পাচ্ছেনা করোনা আতঙ্কে রোগীরা

0
490
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আইসলেশন ওয়াড থাকলেও ভরসা পাচ্ছেনা করোনা আতঙ্কে রোগীরা

রতন আচার্য্য,ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রামণ আতঙ্কে রোগী শূন্য হয়ে পড়েছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল।এর মধ্যে তৈরি করা হয়েছে আইসলেশন ওয়াড,কিন্ত তাতেও ভরসা পাচ্ছেনা করোনা আতঙ্কে রোগীরা তবে আরএমও ডা. মো : আবুয়াল হাচান বললেন করোনা রোগী ও ডাক্তারদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্তা নেয়া হয়েছে

আশির দশকে প্রতিষ্ঠিত ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়। সরকারি এ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন বর্হিবিভাগে ৪০০ হতে ৫০০ রোগীর ভিড় থাকতো। চিকিৎসকরাও দম ফেলার সময় পেতেন না। রোগী দেখেই ব্যস্ত সময় কাটতো তাদের। চিকিৎসকদের রোগী নিয়ে সেই ব্যস্ততা কমে গেছে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে হাসপাতালে সহসায়ই আসছেন না কোন রোগী। গুরুতর অবস্থায় কেউ আসলেও চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে যান।এদিকে করোনা রোগীদের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আইসলেশন ওয়াড ও পাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন তৈরি করা হয়েছে,প্রতিটি ওয়াডে ২০টি করে বেড রাখা হয়েছে।এবং ডাক্তারদের সুরক্ষার জন্যও পিপিাই প্রদান করা সহ সব ধরনের ব্যবস্তা নিয়েছে কতৃকপক্ষ দু’চারজন যারা ভর্তি হন, তারাও রাতে ভয়ে হাসপাতালে থাকেন না। আত্মীয় স্বজনের বাসায় থেকে পরের দিন ভোরে আবার হাসপাতালের বেডে এসে চিকিৎসা নেন। রোগী না থাকায় বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটারসহ সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম। এ অবস্থাও হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকে মনে।

রোগী কম থাকায় কক্ষে বসে অলস সময় পার করছেন চিকিৎসকরা। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ইনডোরেও রোগীর সখ্যা খুবই কম। তবে জরুরী বিভাগ ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকায় সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন কিছু রোগী। কাটা ছেরা কিছু রোগী আসছেন যাদের ব্যান্ডেজ ও সেলাই করে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।

ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন,হাসপাতালে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকেন, যখন যে রোগী আসে, তাদের সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন সিভিল সার্জন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here