মোঃ অালী হাসান,জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জনতা ব্যাংক জয়পুরহাট প্রধান শাখা থেকে ৪৫ লাখ টাকা রহস্যজনকভাবে চুরির এক মাস গত হলেও টাকা উদ্ধার বা চুরির কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ব্যাংকে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি শহরের অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো হলেও জনতা ব্যাংকের চুরি যাওয়া ৪৫ লাখ টাকার
কোনো হদিস বের করা যায়নি। গত ২৮ নভেম্বর বেলা ১০টা ৫৩ মিনিটে জেলা শহরের জনাকীর্ণ এলাকা পুরাতন বাটারমোড় এলাকায় অবস্থিত জনতা ব্যাংক জয়পুরহাট প্রধান শাখায় এই রহস্যজনক চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, মাথায়
টুপিপরা একজন লোক টাকার ব্যাগটি ক্যাশ কাউন্টার থেকে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের কারো না কারো সংশ্লিষ্টতা ছাড়া এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে না এমন ধারণা থেকে পুলিশ ব্যাংকের চিফ ক্যাশিয়ার রায়হান আলম, ক্যাশিয়ার সাইফুল ইসলামকে ও পিয়ন আমানত
হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো হদিস বের করা সম্ভব হয়নি। টাকা চুরির ঘটনায় ওই দিনই অজ্ঞাত আসামি করে জয়পুরহাট থানায় একটি মামলা দায়ের
করেন ম্যানেজার শাহ আলম। জনতা ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে রহস্যজনকভাবে
চুরি যাওয়া ৪৫ লাখ টাকা গত এক মাসেও উদ্ধার বা কোনো হদিস বের করা সম্ভব হয়নি বলে জানান জয়পুরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক। তবে চুরি যাওয়া
টাকা উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও তিনি
জানান। দায়িত্বে অবহেলার কারণে গ্রেফতার হওয়া চিফ ক্যাশিয়ার রায়হান আলম, ক্যাশিয়ার সাইফুল ইসলামকে ও পিয়ন আমানত হোসেনকে ঘটনার পরে বিভাগীয় ব্যবস্থা হিসেবে সাসপেন্ড করা হয়। জনতা
ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, ঘটনার পর থেকে ব্যাংকের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
খবর৭১/জি: