জয়কে হত্যার ষড়যন্ত্র: শফিক, মাহমুদুরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

0
519

খবর৭১: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক মামলায় শফিক রেহমান, বিএনপির পেশাজীবী নেতা মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।

গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত মঙ্গলবার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে সেটি সেদিন প্রকাশ হয়নি।

এই মামলায় অন্য যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। আসামিদের মধ্যে মামুন ও মিজানুরকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

আসামিদের মধ্যে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানকে নির্দেশদতা এবং মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনকে পরামর্শদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মামুনের ছেলে রিজভী আহাম্মেদ যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের কাছ থেকে সজীব ওয়াজেদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করেন এবং পরে তা অন্য আসামিদের সরবরাহ করেন। আর প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান এই ষড়যন্ত্রে অর্থ যোগানোর পাশাপাশি পরামর্শদাতা হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

মামুন জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি এখনও সে দেশেই বসবাস করেন।

জয়ের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সংরক্ষিত গোপন তথ্য পেতে এফবিআইএর এক কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে ২০১৫ সালে মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারকে কারাদণ্ড হয়েছে।

এই ঘটনাটি বাংলাদেশে প্রকাশ পেলে তোলপাড় হয়। তখন জয়ও বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া দেন। বলেন, যারা এই চক্রান্তে জড়িত, তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের নথি অনুযায়ী জয়ের ব্যক্তিগত তথ্য তিনি বাংলাদেশি এক সাংবাদিককে দিয়েছিলেন এবং এর বিনিময়ে ৩০ হাজার ডলার পেয়েছিলেন।

এই ঘটনা বাংলাদেশে জানাজানি হলে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে ঢাকার পল্টন থানায় মামলা করে গোয়েন্দো পুলিশ। এতে জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র আনা হয়।

আর ২০১৬ সালের এপ্রিলে শফিক রেহমানকে তার ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তার বাসা থেকে জয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য ও গোপনীয় নথিও পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে দণ্ড পাওয়া বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদ সিজার

পাঁচ মাস পর উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্তি পান শফিক রেহমান।

অন্যদিকে দৈনিক আমার দেশ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারের কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হন। ২০১৬ সালের এপ্রিলে তাকে জয়কে অপহরণ ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই বছরের নভেম্বরে মাহমুদুর রহমান জামিনে মুক্তি পান।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here