জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র: প্রতিবেদন দেয়নি ডিবি

0
523

খবর ৭১:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে।

আজ রবিবার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কোনো প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

নথি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত এ মামলায় আনা অভিয়াগের তদন্ত করছেন।

গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন যা পরবর্তীতে মামলায় রূপান্তরিত হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে যেকোনো সময় থেকে মামলা দায়ের হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা (আসামি) রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

প্রাপ্ত তথ্যসমূহ পর্যালোচনা করে সন্দেহ করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের যে কোনো দেশে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্ব সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবননাশসহ যে কোনো ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে এমন অভিযোগে ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনে নিজ বাসা থেকে প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আদালতের নির্দেশে দুই দফায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করছি : প্রধানমন্ত্রী

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, হত্যার ষড়যন্ত্রে শফিক রেহমানের সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

ওই সময় অন্য মামলায় কারাগারে থাকা আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহামুদুর রহমানকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁকেও আদালতের নির্দেশে দুই দফায় পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এরা দুজনই পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান।
এরপর তদন্তে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ সংক্রান্তে অধিকতর কোনো তথ্যও এখন পর্যন্ত আদালতকে অবহিত করা হয়নি। এ নিয়ে ২০ বার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য হয়েছে।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here