খবর৭১:জ্বালানির দাম ১৫০ শতাংশ বাড়ানোর কথা গত শনিবার (১২ জানুয়ারি) ঘোষণা করেছিলেন জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নাঙ্গাগওয়া। তারপর থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল জিম্বাবুয়ে। সোমবার থেকে শুরু হয়ে গতকাল মঙ্গলবারও দেশজুড়ে অবরোধ ডেকেছে বিক্ষোভকারীরা।
সরকারের বিরোধী দল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জেস বা এমডিসি’র নেতৃত্বে হওয়া এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে সাধারণ মানুষ, গাড়িচালক এবং সমাজকর্মীরাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্খা দ্য জিম্বাবুয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ডক্টরস ফর হিউমান রাইটস।
মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) সংঘর্ষে হতাহতের খবর জানায় মানবাধিকার সংস্থাটি। রাজধানী হারারেসহ আরও কিছু শহর এদিন বন্ধ ছিলো। গত আগস্টে জাতীয় নির্বাচনের পর এটাই দেশটিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের ঘটনা।
রাজ্যের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ওয়েন কুবে বলেন, অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, পুলিশ আহত হয়েছে এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি জানান, ২০০ জনেরও বেশি গ্রেফতার হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতির জন্য বিরোধী দল এমডিসিকে দায়ী করেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট বলেন, জ্বালানি তেলের অপব্যবহার এবং বড় পরিসরে অবৈধ ব্যবসার কারণে জ্বালানি তেলে সংকট দেখা দিয়েছে। আর এই সঙ্কট মোকাবিলায় জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জ্বালানির মূল্য ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। ৮০ শতাংশের বেশি বেকারত্ব থাকা দেশটির জনগণ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার থেকে টানা তিনদিন ধর্মঘটে ডাক দেয় দেশটির প্রধান শ্রমিক ফেডারেশন। রাজধানীর ৩৬ কিলোমিটার দক্ষিণে এপওয়ার্থ এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।
খবর৭১/জি