জেলে পাঠিয়ে খালেদার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে সরকার

0
408

খবর৭১: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারান বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে সরকার তার জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত প্রতিবাদী নাগরিক সভায় তিনি এ দাবি করেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, মিথ্যা, সাজানো, ভুয়া মামলায় কারাগারে পাঠিয়ে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কমছে। বিএনপি চেয়ারপারানের জনপ্রিতায় ভীত হয়ে সরকার তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য জিয়া পরিবারকে হেয় করা।

সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি জাল জালিয়াতির একটা মামলা। এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারানকে অন্যায়ভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। এটি কোনো ফৌজদারি নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা। খালেদা জিয়াকে মানসিকভাবে দুর্বল করতেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অথচ যে মামলার কোনো ভিত্তি নেই। এমনকি যে সব ফাইল সরকার তৈরি করেছে এর কোথাও খালেদা জিয়ার সই নেই।

মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে যে কারাগারে রয়েছে তা একটি পরিত্যক্ত নির্জন কারাগার। এখানে তাকে রাখার উদ্দেশ্য তাঁর মনোবল ভেঙ্গে দেয়া। কিন্তু সরকারের এ প্রচেষ্টা সফল হবে না। তাঁর সাথে যে আচরণ করা হচ্ছে তা কোনো আইন বা জেলকোডেও নেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে সরকার ভুল করেছে। তাঁকে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে এ জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। তাঁরা কোনোভাবেই এর দায়ভার এড়াতে পারবে না।

বর্তমানে বিএনপির সামনে দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে আন্দোলনের মাধ্যে বর্তমান ভোটার বিহীন সরকারকে অপসারণ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা।

তিনি বলেন, আমরা এবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো কিভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে একটি সরকারকে অপসারণ করা যায়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা যায়। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করবো। কিন্তু সরকার চায় খালেদা জিয়াকে ছাড়া ভোট করতে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই বিএনপি চেয়ারপারানকে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।

আওয়ামী লীগ জনগণের রায়কে ভয় পায়। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা না করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে চায়। কারণ তারা জানে মানুষ ভোট কেন্দ্রে গেলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কারণ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে সরকারের খবর আছে।

সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে নাগরিক সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুকোমল বডুয়া, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, কৃষক দলের নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।
খবর৭১/এস:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here