জুম্মার দিনে যে দুরূদ পাঠ করলে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়

0
614

খবর৭১ঃ শুক্রবার মুসলিম উম্মাহর সাপ্তাহিক উৎসবের দিন। এই দিনকে ‘ইয়াওমুল জুমা’ বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা নভোমণ্ডল, ভূমণ্ডল ও গোটা জগৎকে ৬ দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই ৬ দিনের শেষ দিন ছিল জুমার দিন। এই দিনেই হজরত আদম (আ.) সৃজিত হন। এ দিনেই তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং এ দিনেই জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামানো হয়। কেয়ামত এ দিনেই সংঘটিত হবে।

হযরত আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনযির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জুমুআর দিন সব দিনের সরদার। আল্লাহর নিকট সব ‍দিনের চেয়ে মর্যাদাবান। কোরবানির দিন ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান।’

আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর শান্তির প্রার্থনার উদ্দেশে দুরূদ পাঠ করা হয়ে থাকে। দুরূদ একটি ফার্সি শব্দ যা মুসলমানদের মুখে বহুল ব্যবহারের কারণে ১৭শ শতাব্দীতে বাংলা ভাষায় অঙ্গীভূত হয়ে যায়।

বৃহত্তর অর্থে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতি এবং তাঁর পরিবার-পরিজন, সন্তান-সন্ততি এবং সহচরদের প্রতি আল্লাহ্‌র দয়া ও শান্তি বর্ষণের জন্য প্রার্থনা করাই দুরূদ। দুরূদকে প্রায়ই সম্মানসূচকভাবে ইসলামী পরিভাষায় ‘দুরূদ শরীফ’ও বলা হয়ে থাকে।

হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাম উচ্চারণের সময় সর্বদা ‘সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ (অর্থ- আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর ওপর) বলা হয়, যা একটি দুরূদ।

একটি দুরূদের অর্থ এরকম: ‘হে আল্লাহ, মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি আপনি দয়া পরবশ হোন। তাঁর আলোচনা ও নামকে আপনি এই পৃথিবীর সকল আলোচনা ও নামের মাঝে সর্বোচ্চ স্থানে রাখুন।’

জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে হযরত আবু হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর না উঠে ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দুরূদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।’

দোয়াটি হলো: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা।

জুমার দিনের আরও কিছু আমলের মধ্যে রয়েছে। জুমার দিনে সূরা কাহফ তিলাওয়াত করলে কিয়ামতের দিন আকাশতুল্য একটি নূর প্রকাশ পাবে। বেশি বেশি দুরূদ শরিফ পাঠ করা এবং বেশি বেশি জিকির করা মুস্তাহাব।

জুমার রাত (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ও জুমার দিনে নবী করিম (সা.) এর প্রতি বেশি বেশি দুরূদ পাঠের কথা বলা হয়েছে। এমনিতেই যে কোনো সময়ে একবার দুরূদ শরিফ পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা পাঠকারীকে ১০টা রহমত দান করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য ১০বার রহমতের দোয়া করেন।

জুমার নামাজের পূর্বে দুই খুতবার মাঝখানে হাত না উঠিয়ে মনে মনে দোয়া করা। সূর্য ডোবার কিছুক্ষণ আগ থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত গুরুত্বের সাথে জিকির, তাসবীহ ও দোয়ায় লিপ্ত থাকা।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here