খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে সরকার জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে: অধ্যক্ষ নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি

0
336

 

বগুড়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সমবায় দলের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান, বগুড়া জেলা বিএনপি’র উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে সরকার জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। কিন্তু লাভ নেই, মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার পাশে এসে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ। রাতে শিবগঞ্জ (বগুড়া) এলাকায় সমবায় দলের উদ্যোগে এক গণসংযোগ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি (অধ্যক্ষ নূর আফরোজ বেগম জ্যোতি) আরও বলেন, সরকার– ম্যাডাম খালেদা জিয়ার রায়কে নিয়ে পুরোদেশ জুড়ে জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো অবস্থা দাড় করিয়েছে, কিন্তু লাভ হবে না। যে ভাবে সারাদেশে সভা সমাবেশ   বন্ধ  , গাড়ি চলাচল সীমিত, প্রতিটি যানবাহন ট্রাক, ঘনঘন পুলিশের টহল গাড়ীর বাঁশীর শব্দে সারা এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিনা ওয়ারেন্টে হয়রানি মূল্যেক আটক করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের কাউকে বাড়িতে ঘুমাতে দেওয়া হচ্ছে না। মনে হচ্ছে আমরা যেন অন্য দেশে বসবাস করছি। কি দোষ আমাদের? এই জন্যই কি আমরা স্বাধীনতা চেয়েছিলাম? স্বাধীন দেশে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারবো না। সততার সাথে চলতে পারবো না? অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবো না, নিজের দেশে নিজের ঘরে শান্তিতে ঘুমাতে পারবো না। কেন আমাদের পালিয়ে বেড়াতে হবে? কারণ, আপনারা ক্ষমতা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে চান। নিজেরা অপরাধ সহ ধন সম্পদের পাহাড় বানাতে চান। আর বিরোধী দলকে ভালো ভাবে বাঁচতে দিতে চান না? কারণ ১।আমরা ভোট দেয়ার অধিকার চায় ২০১৪ সালের নির্বাচন চায় না। ২। কারণ পেট ভরে ভাত খাওয়ার অধিকার চাই ১০ টাকা কেজি চাল না পেলেও। ৩। ন্যায কথা বলার অধিকার চাই। বাড়ি বাড়ি চাকরি না পেলেও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চায়। এই জন্যই বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জন সমর্থিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে তাকে আটকে রেখে শূন্য মাঠে নির্বাচনে জিৎতে চান। মনে করুন তো? একই সময়ে আপনার বিরুদ্ধে তো মামলা হয়েছিল, সেই মামলাগুলো কোথায় গেল? সেগুলো কি ধোঁয়া তুলষীর পাতা ছিল? আর এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার কথা বলেন হাওয়া ভোবনের কথা বলেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিন্তু, আপনাদের হাওয়া ভোবনের চেয়েও “তিনটি পাওয়ার ভোবনের” কথা বিশ্বের সবাই জানে। শেখ রেহেনা,জয় ও আপনার পাওয়ার ভোবনের পাওয়ারে, কথা কেনা জানে। তার জন্য কোন আদালতে বিচার হবে? আপনি তো রায় বিপক্ষে গেলে দেশের প্রধান বিচারপতিকেও বাড়িতে নয় দেশে নয় চাকুরিচ্ত্যু করে, বিদেশে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আমরা রায় দেখার জন্য শান্তিপূর্ণ দর্শকও হতে পারবো না? এতটা নিবোর্ধ ভাবেন কি করে। মনে রাখবেন এটা ফেব্রুয়ারী মাস। এ মাসে বাংলা ভাষার জন্য প্রতিবাদী মানুষের জয় হয়েছে। এবার– কথা বলার অধিকার, ভোট ও ভাতের অধিকার ও ন্যায় পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠা হবেই, এই মহান ফেব্রুয়ারী মাসে।
খবর ৭১/ ই:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here