জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে নড়াইলে দু’প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০,

0
276

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নৌকা ও আনারস মার্কার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন।পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়।অধাঘন্টা ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আসার পর পরবর্তীতে ভোট গ্রহণ আবার শুরু হয় হয়। নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বিষ্ণুপদ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে নড়াইলের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।দুপুর ১২টার দিকে কালিয়া উপজেলার নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট চলাকালে জালভোট চলছে বলে নৌকা ও আনারস মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা একে অপরকে দোষারোপ করে হট্টগোল শুরু করে। হট্টগোল এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপ নেয়।দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।সংঘর্ষে সাগর শেখ,বাদশা মিয়া, জিয়াদ, বাঁধন, জিয়াউদ্দিন, আনিচ, হাফিজুর রহমান,ইমরান হোসেন,রনি, রাইসুল ইসলাম, রাশিদুল হাসান,আব্বাস উদ্দিন,ইকবাল হোসেনসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২০জন আহত হন।আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।সংঘর্ষ থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে।ঘটনার পর নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা ও পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন পিপিএম পিপিএম (বার), ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।,এ ব্যাপাওে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার), নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, নোয়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দু’পক্ষের মধ্যে একটু গোলযোগ হলেও সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। উল্লেখ্য, কালিয়া উপজেলায় আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হচ্ছেন-উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ (নৌকা)।নৌকা প্রতীকের সঙ্গে লড়ছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এসএম হারুনার রশীদ (আনারস)। ‘নির্বাচন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের উপজেলা নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষে একজন অতিরিক্ত ডিআইজি নিয়োজিত থাকবেন। সেই সাথে প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। কোথাও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটলে ডিআইজির নির্দেশক্রমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর৭১/এসঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here