নড়াইলে প্রতিনিধি মুকুল: নড়াইলে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নিকট মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মুকুল। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নড়াইল জেলা শাখার সুযোগ্য সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুজ্জামান মুকুলের প্রভাবে নড়াইল জেলা আজ প্রায় জামায়াত-শিবির বিএনপি’র মুক্ত। কতিপয় যে সকল জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা নড়াইলে অবস্থান করছে তারাও মুকুলের ভয়ে সর্বদা আতঙ্কগ্রস্থ। অনেকে দল পরিবর্তনসহ দল থেকে অব্যাহতিও নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, যেখানেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা নাশকতার পরিকল্পনা করেছে গোপন সংবাদের সূত্র ধরে মুকুল সেখানে হানা দিয়ে সে পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছে। সাথে সাথে খবর দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। যার ফলে নড়াইল পুলিশ অনেকবার অভিযান চালিয়ে নড়াইল জেলা থেকে অনেক জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের আটক করতে সক্ষম হয়। যার অধিকাংশই সম্ভব হয়েছে ছাত্রলীগ নেতা মুকুলের কারণে।
তাছাড়া নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের নয়নের মনি এই মহান নেতার কর্মকান্ডে সকলেই সন্তুষ্ট। নেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে কোনো ক্ষোভ বা মনোমালিন্য। দলের কল্যাণে সর্বদা নিজ সুখ শান্তি বিলিয়ে দিয়ে রাজপথে মিছিল-মিটিং করে বেড়িয়েছেন। ছাত্রলীগের সকল ধরনের সভা-সমাবেশে তার উপস্থিতিও অন্য নেতাদের থেকে বেশিই।
নড়াইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও নড়াইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুল ইসলামও বাড়ি ছাড়া হয়েছে শুধুমাত্র এই নেতার কারণে। মনিরুল নড়াইল জেলায় বিভিন্ন ধরনের নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে মর্মে মুকুলের কাছে খবর আসা মাত্র সঙ্গীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মনিরুলকে বাড়ি ছাড়া করেছে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা রেখে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এমন কতিপয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের ধরে সোপর্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে। তাঁর হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিএনপিপন্থী নাশকতা সৃষ্টিকারী কোনো নেতাকর্মী। তাঁর এসকল সমাজসেবামূলক কাজে পুলিশের কাছেও তিনি একজন প্রশংসার পাত্র।
সদালাপী ও মিষ্টভাষী এই মহান নেতার সংস্পর্শে থেকে অনেক ছাত্রনেতা উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে বলেও জানা গেছে। ছাত্রদের কল্যাণে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতে কখনোই কুণ্ঠাবোধ করেননি এই মানুষটি। কোনো ছাত্র সাহায্যের জন্য এলে কখনোই তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয় না মুকুল। সাধ্যমতো তাদের সমস্যা সমাধানে নিরলস পরিশ্রম করে। এ ধরনের আরো অনেক মানবিক গুণ তার মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।
অনেকে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচারে লিপ্ত হলেও কখনোই তিনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বরং বন্ধুসুলভ আচরণের মাধ্যমে সকলকে বাহুডোরে আবদ্ধ করার মাঝেই যেন সমস্ত শান্তি খুঁজে পান এই উদার মনের মানুষটি।
খবর ৭১/ এস: