জামালগঞ্জে পাগনার হাওরের গজারিয়া ও মুচিবাড়ী ক্লোজার বাঁধ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

0
261

জামালগঞ্জ(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওর রক্ষার স্থায়ী বাঁধ গজারিয়া ঢালার বাঁধটি মাছ শিকারীরা কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এছাড়া একই হাওরের মুচিবাড়ী ক্লোজার বাঁধ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।ধারনা করা হচ্ছে গত সপ্তাহে সুরমা নদীতে পানি বৃদ্ধির সময়ে মাছ শিকারী ও নৌকার মালিকগণ নৌকা চলার সুবিধার্তে রাতের কোন এক সময়ে বাঁধটি কেটে দিয়েছে।এতে সম্পূর্ণ বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের মতে মৎস্য শিকারী/দুর্বৃত্তরা এ বাঁধ দুটি কেটে দিয়েছে।

পাগনার হাওর ফসল রক্ষা বাঁধ গজারিয়া ঢালা কেটে দেওয়ায় গত সোমবার(৯জুলাই)দুপুরে কামধবপুর গ্রামের মাছ শিকারীদের বিরুদ্ধে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,গজারিয়া ঢালা পাগনার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ও লোকজন চলাচলের রাস্তা।মাছ ধরার জন্য গত শুক্রবার গভীর রাতে বাঁধের কিছু অংশ কেটে দেয় ফেনারবাঁক ইউনিয়নের কামধবপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম,কবির মিয়া,নজরুল ইসলাম,হেলাল মিয়া,আবুল ইসলাম,আজহারুল মিয়া,হুমায়ূন মিয়া,অালমঙ্গীর, রাজু মিয়া,কাঁচামিয়া ও জসিম উদ্দিন।

ঘটনার রাতে নৌকায় থাকা দুজন লোক তাদের বাঁধ কাটতে দেখেছে।পরে রবিবার সন্ধ্যায় কামধবপুর বাজারে অালীপুর,কামধরপুর ও গজারিয়া গ্রামের লোকজনের উপস্থিতিতে বাঁধ কাটার কথা স্কীকার করেন অভিযুক্ত মাছ শিকারীগণ।কামধবপুর গ্রামের ১১জন লোক বাঁধের ২০ ফুট জায়গা কোদাল দিয়ে রাতের অাধারে কেটে দিয়েছে।পরবর্তীতে নদীর স্রোতে বাঁধের ভাঙ্গন বড় হয়ে কয়েকশত ফুট প্রশস্ত হয়েছে এবং হাওরে পানি ঢুকছে।গত বোর মৌসুমে এই বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মান করেছিল।বর্ষায় বাঁধটি ৪ ফুট ভাসমান ছিল।

এলাকার লোকজন এই বাঁধ কাম রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদর সহ অন্যত্র সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন।এলাকাবাসী জানান,বাঁধ কেটে দেওয়ায় এলাকার যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিছিন্ন হয়েছে।সরকারের ২০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।আমন ধান রোপন করতে কৃষকদের সমস্যা হবে।আগামীতে বাঁধটি নতুন ভাবে বাঁধতে হবে এতে ঝুকিপূর্ণতা বাড়বে।স্থানীয় লোকজনের চলাচলে ভোগান্তি হবে চরম ভাবে।

কেটে দেওয়া গজারিয়া বাঁধের প্রকল্প পিআইসি ছিলেন ফেনারবাঁক ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আলী আহমদ তিনি জানান রাস্তা কাম হাওর রক্ষার জন্য বাঁধের কাজ করেছিলাম।কামধবপুর গ্রামের জেলেরা বাঁধটি কেটে দিয়েছে।এলাকাবাসীর সামনে অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে।বাঁধটি কাটাতে এলাকাবাসী ও সরকারের বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি করেন তিনি।

পাউবোর জামালগঞ্জের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারি কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন দাস বলেন আমি বিষয়টি জেনেছি।স্থানীয় উপকারভোগি কেউ অাইনি ব্যাবস্থা না নিলে আমরা আইনি প্রদক্ষেপ নেব।

জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আল ইমরান বলেন,মাছ ধরার জন্য যে বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়েছে সেটি বাঁধ ও এলাকার চলাচলের রাস্তা।এটি কেটে দেবার ফলে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ওই বাঁধের পিআইসি কে বলে দিয়েছি জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here