খবর৭১:জামালগঞ্জ প্রতিনিধি:জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি অফিসার শামীম আল ইমরান গতকাল সোমবার উপজেলার হালির হাওর পরিদর্শন করেছেন।
এসময় হাওর রক্ষা বাঁধের পাশাপাশি হাওরে বোর ধানের বাম্পার ফলন দেখে স্বস্তি প্রকাশ করেন।এছাড়া হাওরে তিনি কৃষকদের ধান কাটা ও ফসলের খোজ খবর নেন।তিনি ঐদিন বিকালে বদরপুর গ্রামের কৃষকের ধান নিজে মেশিনের সাহায্য মাড়াই করে দেন।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষকের স্বপ্ন পূরন করতে পারায় মহান স্রষ্টার নিকট শুকরিয়া আদায় করেন।নিজ দায়িত্ব ও সংশ্লিষ্ট সহকর্মী’দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।জমিতে বাম্পার ফলন দেখে কৃষকের পাশাপাশি তিনিও মহা অানন্দিত।চারিদিকে ধানের মৌ মৌ গন্ধে কৃষকের চোঁখে মূখে আজ হাসি ফুঠেছে।ধান গোলায় তুলে সব কষ্ট ভূলে যাবেন তারা।
কৃষকের এসব দৃশ্য দেখে তিনি বলেন,ফসল হারিয়ে কৃষকগণ মনমরা বিপর্যস্ত দিশেহারা হয়ে পড়েছিল।তাদের ফসল গোলায় তুলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করেছি।প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকলে কিছু দিনের মধ্যেই ধান কাটা শেষ করবে।আর দূর্দশা গ্রস্ত এসব কৃষকের মূখের হাসিই হবে আমার প্রাপ্তি।
এ বছর চতুর দিকে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মান হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন কৃষকরা।টানা দু’বার ফসল হারিয়ে কৃষকগণ যখন বিপর্যস্ত দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন।তখনই জামালগঞ্জে উপজেলা নির্বাহি অফিসার হিসাবে শামীম আল ইমরান যোগদান করেন।
তিনি এসব ফসল হারা কৃষকদের মধ্যে ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করেন,পরবর্তী বছরের ফসল রক্ষা বাঁধের পরিকল্পনা ও প্রস্ততি গ্রহন,জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি নিস্কাসনের ব্যাবস্হা গ্রহন,২৯ হাজার কৃষকের পূর্নবাসন কর্মসূচি,বাঁধ নির্মান ও সংস্কার,প্রাকৃতিক আবহাওয়া কৃষকের অনুকুলে রাখার জন্য স্রষ্টার নিকট দোয়া/প্রার্থনা সহ বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার বিগত কয়েক মাস দিন রাত কঠোর প্ররিশ্রম করে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করেন।তাঁর কাজের স্বীকৃতি হিসাবে সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে কাজের অগ্রগতিে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রথম হয়েছে।
দূর্যোগ মোকাবেলায় তাঁর নিরলস কর্ম প্রচেষ্টা ও সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসায় উপজেলার জুরে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
হাওরের কাজে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে বেড়ানোয় অনেক সমস্যার সমাধান করেছেন।এর আগে কোন নির্বাহি অফিসার এরকম তৃণমূল মানুষ সাথে মিশতে পারেনি।
খবর৭১/জি: