জাবিতে খালেদা জিয়া হলের নাম পরিবর্তনের অপচেষ্টা : জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম ও ছাত্রদলের নিন্দা! 

0
251
জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ‘বেগম খালেদা জিয়া’ হলের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হামজা রহমান অন্তর। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে  জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম ও জাবি ছাত্রদল।
খালেদা জিয়া হলের নাম পরিবর্তন করার চেষ্টায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম। এ ছাড়াও গতকাল রাতে অধ্যাপক মো. কামরুল আহসানের নেতৃত্বে রাতে ওই হলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন এবং ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের জন্য আবেদন করেন।
এছাড়াও  হলের নাম পরিবর্তন করার চেষ্টায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাবি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানায় জাবি  ছাত্রদল। এদিকে এহেন কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগের  সাবেক ও বর্তমান অনেক নেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ঘৃণার রাজনীতি পরিহার করতে বলেন।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ছাত্রলীগ নেতা অন্তরসহ তিনজন ওই হলের সামনে গিয়ে খালেদা জিয়া হলের নামফলক ও প্রতিকৃতি নিচিহ্ন করার চেষ্টা করে একটি ব্যানারে ‘বেগম রোকেয়া হল’ লিখে দেয়।
এসময় ওই হলের প্রশাসন, ছাত্রলীগের নেত্রীবৃন্দ, সাংবাদিক কেউই উপস্থিত ছিলেন না। হল গেইটে অবস্থানরত নিরাপত্তা প্রহরীকে জাগিয়ে এ কাজ করেন অন্তর।
আপনি কেন একাই নাম পরিবর্তন করতে গেলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে হামজা রহমান অন্তর বলেন, ‘বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার বলার মতো কোনো অবদান নেই তাই তাঁর নামে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে আবাসিক হল থাকা লজ্জাজনক। এই লজ্জার দায় থেকে এই কাজ করেছি।’
পরবর্তীতে ভোরে হল প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে মানুষের দৃষ্টিগোচর হওয়ার আগেই খালেদা জিয়ার নামফলক ও প্রতিকৃতিতে ক্রস চিহ্ন এবং ‘রোকেয়া হল’ নামের ব্যানারটি সরিয়ে নেয় বলে জানান হল ওয়ার্ডেন ড. মো আওলাদ হোসেন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সফিয়ান, ‘অন্তর আমাদেরকে জানিয়ে এ কাজ করেনি। আমাদের কোনো নির্দেশনাও ছিল না। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নাই।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সিকদার মো. জুলকার নাইন বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই ধরনের সংস্কৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে বিতর্কিত এই ছাত্রলীগ নেতা নিজেকে হাইলাইট করতে বারবার বিতর্কিত কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের। কোটা সংস্কার আন্দোলন করায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকিও দিয়েছিল অন্তর। এর আগে দোল উৎসবে এক ছাত্রীকে জোর করে রঙ মেখে দেওয়ার অভিযোগে তিন মাসের বহিষ্কার হয়েছিলেন এই বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here